সাজ্জাদুর রহমান, জয়পুরহাট প্রতিনিধি।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের অবদানে মাত্র ১২০ টাকা করে খরচে স্বপ্ন পূরণ হলো জয়পুরহাটের ২৫ তরুণ তরুণীর। কোনো রকম ঘুষ বা তদবির ছাড়াই পুলিশে চাকরি হয়েছে তাদের। মূল্যায়ন হয়েছে মেধা ও যোগ্যতার।
তাদেরই একজন হচ্ছে মুদি দোকানের কর্মচারীর মেয়ে লাবনী রানী সাহা। জানতে পারেন পুলিশে চাকরি পেতে টাকা লাগে না। পরে আবেদন ফরম পূরণ করে লাইনে দাঁড়িয়ে বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হলেন।
শনিবার রাত ৮টায় জয়পুরহাট পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দে কেঁদে ফেলেন এ তরুণী। পাশে এসে দাঁড়ান বাবা লিটন চন্দ্র সাহা।
লিটন চন্দ্র সাহা বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন আজ। বিনা পয়সায় আমার মেয়ের চাকরি হইছে। টাকা ছাড়া চাকরি হয়, এটি আজই দেখলাম। লাবনী রানী সাহা বাড়ি জেলার আক্কেলপুর উপজেলার হাস্তাবসন্তপুর গ্রামে।
জয়পুরহাট সরকারি শিশু পরিবারে বেড়ে উঠেছেন এতিম আল আমিন। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়েছে তার। নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আবেগাপ্লুত আল আমিন। লাবনী রানী সাহা ও আল আমিনের মতো ২৫ জন শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতায় মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
শনিবার জয়পুরহাট পুলিশ লাইন্সে নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা জানান, জয়পুরহাট জেলায় ২৫ জন কনস্টেবল পদে নিয়োগে পেলো। ২২ ও ২৩ মার্চ ৭১৬ জন চাকরি প্রার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে যাচাই-বাছায়ের পর শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করে ২৯৬ জন চাকরি প্রার্থী। গেল ২৯ মার্চ যাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১৯২ জন। আর ৯ এপ্রিল শনিবার চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাশ করে ৬৮ জন। যাদের মধ্যে ওইদিনই নিয়োগ দেওয়া হয় ২৫ জনকে। আর অপেক্ষমান আছেন ৬ জন।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ নজিরবিহীন ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইজিপি শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা পেশাদারিত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।
Leave a Reply