1. admin@asianexpress24.com : admin :
  2. asianexpress2420@gmail.com : shaista Miah : shaista Miah
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কোম্পানীগঞ্জে ইয়াবা সহ আটক ১ লোহাগড়ায় খেলাপী ঋণ আদায় ও নতুন ঋণ বিতরণ মেলা কুড়িগ্রামে ৪০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথের বন্ধুয়ায় প্রবাসী সেলিম আহমেদ সংবর্ধিত বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি বাজারে প্রবাসী সেলিম আহমেদ এর সিসি টিভি প্রদান বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবে সেলিম আহমেদ সংবর্ধিত লোহাগড়ায় বেগম রোকেয়া দিবসে ৫ জয়িতাকে সংবর্ধনা বিশ্বনাথে দখলকৃত খাল ও গোপাট উদ্ধারে ইউএনও বরাবরে আবেদন চারিগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের‘প্রবাসী বিজ্ঞান ভবনের’ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন কালিয়ায় যুবদলের কর্মসূচীতে সাংবাদিকের উপর হামলায় জেলা যুবদল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পৌর যুবদলের সদস্য সচিবকে
শিরোনাম
কোম্পানীগঞ্জে ইয়াবা সহ আটক ১ লোহাগড়ায় খেলাপী ঋণ আদায় ও নতুন ঋণ বিতরণ মেলা কুড়িগ্রামে ৪০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথের বন্ধুয়ায় প্রবাসী সেলিম আহমেদ সংবর্ধিত বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি বাজারে প্রবাসী সেলিম আহমেদ এর সিসি টিভি প্রদান বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবে সেলিম আহমেদ সংবর্ধিত লোহাগড়ায় বেগম রোকেয়া দিবসে ৫ জয়িতাকে সংবর্ধনা বিশ্বনাথে দখলকৃত খাল ও গোপাট উদ্ধারে ইউএনও বরাবরে আবেদন চারিগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের‘প্রবাসী বিজ্ঞান ভবনের’ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন কালিয়ায় যুবদলের কর্মসূচীতে সাংবাদিকের উপর হামলায় জেলা যুবদল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পৌর যুবদলের সদস্য সচিবকে বিশ্বনাথে তালামীযে ইসলামিয়া চারিগ্রাম আঞ্চলিক শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন সুনামগঞ্জে কৃষকদের জমি দখল, চেয়ারম্যানসহ ৭জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশ্বনাথে বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিদর্শনে প্রবাসী সেলিম আহমেদ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক শুমারির ২০২৪’ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

যার যে রকম ইচ্ছা

  • Update Time : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২২৪ Time View

মিজানুর রহমান মিজান

বর্তমানে আমরা আমাদের চিন্তা চেতনাকে আবর্তিত করি শুধু নিজকে নিয়েই। অন্যের ভাল-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধার কথায় মোটেই চিন্তাকে বিকশিত করি না। কিন্তু আমরা সমাজ, সমাজবদ্ধ মানুষ নিয়ে বসবাস করি নিরেট সত্য রুপে।চিন্তা-চেতনাকে প্রসারিত করতে সর্বদা অনিচছুক। অন্যের কিছু নিয়ে ভাববার সময় দিতে ও রাজি নয়।আমার চিন্তা আমাকে নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকতে আগ্রহী।তাই আমাদের আচরণ অনেকটা হয়ে উঠে “যখন যা ইচছা আমার” কেন্দ্রিক।শুধু আমার স্বার্থ, সুবিধা, লাভ, ফায়দা হাসিল থাকে মুল লক্ষ্য বস্তু।একটি সমাজে শুধু আমি বসবাস করি না। আরো অনেকেই বসবাস করে। প্রত্যেকে আমরা প্রত্যেকের সুযোগ-সুবিধা, একে অন্যের প্রতি সম্মানবোধ রেখে যাপিত জীবন যাত্রায় অগ্রসর হওয়া যদিও একান্ত কামনার বিষয় বস্তু।তথাপি তা থেকে আমরা অনেক দুরের বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছি।মানুষ হয়ে মানুষকে ভালবাসতে, সম্মান করতে শিখা হয়নি। হবার তাগিদ নেই মোটেই। আমাকে বড় ভাবতে গিয়ে সমাজে বসবাসকৃত অপরাপর মানুষকে ছোট মানুষের কাতারে রেখে সে ধরণের আচরণে হয়ে উঠেছি অভ্যস্থ।হেন তেন আচরণ করি অপরের সাথে। নিজেকে ভাবি ‘কি হইনু আমিরে’।নীতি , নৈতিকতা, সুন্দর, মানবিক মুল্যবোধ, মনুষত্ব, সত্য ও সততা বিসর্জন দিয়ে হয়ে উঠছি আমিত্বের হামবড়া ভাবের ভাবুক।কিন্তু এটা মানবিক, মনুষত্বের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। একটা সভ্য সমাজের আচরণ তা হবার কথা নয়, হতে পারে না। কতদিন চলবো আমরা এভাবে। আমাদেরকে পরিবর্তন হতে হবে, দিন বদলের সাথে মানবিকতার আচরণ আয়ত্ব করা জরুরী। নতুবা আমরা ‘কাঁদছি, কাঁদবো’।তুমি আমি, আমি তুমি হতে হবে আমাদেরকে। নতুবা এ সমাজের ধ্বংস নিজ চোখেই দেখে যেতে হবে। এর ব্যতিক্রম হবার কথা নয়, থাকবে না।

  দিন বদলায়, সমাজ বদলায় এটাই নিয়ম। অমানসিক আচরণ কেন বদলায় না?মনুষত্ববোধে কেন হই না পরিবর্তিত? মানুষ শিক্ষা লাভে হয় শিক্ষিত। তার বদলে প্রতিনিয়ত আমরা গ্রহণ করছি বর্বরতা। শিক্ষিত হচিছ সত্য। কিন্তু এটা সুশিক্ষার পরিবর্তে হচেছ কুশিক্ষা। যেখানে পরিবারের পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, ভদ্রতা, মনুষত্ব, মানবিক মুল্যবোধ শিখানোর কথা। অতীতে তা ঠিকই হয়েছে। কিন্তু আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নীতি-নৈতিকতা শিক্ষার বড়ই অভাব।নীতিহীন শিক্ষা ঠেলে দিচেছ অন্ধকার থেকে গভীর অন্ধকারের দিকে। তরুণরা (সব নয়)শিক্ষিত হচেছ, নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষিত হয়ে দম্ভ ভরে চলাফেরা করছে সমাজে। দাম্ভিকতা তাদেরকে আঁকড়ে ধরেছে, স্বভাব হয়ে উঠেছে। একজন শ্রমজীবি মানুষ , দরিদ্র, অসহায়, নিরীহ মানুষ তাদের কাছে মানুষ বলে বিবেচিত হচেছ না।সবাই আজ এ রোগে রোগাক্রান্ত।সর্বত্র ব্যথার ভারে নিমজ্জিত। ঔষধ দেবার জায়গা খুজে পাওয়া মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। তা হবার কথা নয়, হবার কথা ছিল না। পূর্বে শিক্ষার সাথে নৈতিকতার সংযোগ ছিল। দম্ভ, অহমিকা,অহংবোধে তাকে দিয়েছি নির্বাসনে পাঠিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে।সুতরাং বলতেই হয় কবির কথায়,“মানুষ হওয়া মুখের কথা নয়”।সুতরাং এ থেকে আমাদের উত্তোরণ অবশ্যম্ভাবী।

    আমি দেখেছি এক সময় মাতা পিতা সন্তানকে নিয়ে সন্ধ্যার পর পড়তে বসাতেন। নিজে সন্তান-সন্ততিদেরকে নিয়ে শুধু পাঠ্য বইয়ে মনোনিবেশ না করে কিছু নীতি,নৈতিকতা শিখাতেন, গল্প বলতেন যেগুলি উপদেশ বা শিক্ষণীয় গল্প। খেলার মাঠে বা স্কুলে বন্ধুদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে, ভদ্র, সুন্দর , নম্র আচরণ শিক্ষা দিতেন। কটু বাক্য পরিহারের বিষয়ে উৎসাহিত করতেন। শিক্ষকের সহিত কিভাবে কথা বলতে মার্জিত আচরণের সহিত তা দেখিয়ে দিতেন, বুঝিয়ে বলতেন। রাস্তা ঘাটে চলমান সমাজের মুরব্বিদের সহিত কথা বলা, করণীয় আচরণ শিখিয়ে দিতেন। তাছাড়া পথি মধ্যে কোন শিশুকে পেলে মুরব্বিয়ানরা ও কিশোর-কিশোরীদের অত্যন্ত যত্নের সহিত কথা-বার্তা বলা, নৈতিকতার উপদেশ দিতেন। আজ তা নেই বললেই অত্যুক্তি হবে না। সবাই আজ ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিঞ্চিৎ সময় নেই দাড়াবার, একটু কথা বলার। কেউ লিপ্ত কাজে, কেউ লিপ্ত মোবাইলের স্কীনে। যার যার মতো করে পথ চলছেন। কে শিখাবে আর শিখবে কে? তা নির্ধারণ করতেই হিমশীম খেতে হচেছ। পথভ্রষ্ট হয়ে চলছি রাস্তা সমান তালে। শিক্ষার্থীর কাছে একজন শিক্ষক পিতার সমতুল্য। শিক্ষকের কাছে (সব নয়) শিক্ষার্থী হচেছ লাঞ্চিত, নির্যাতিত।শিক্ষকের মর্যাদা হচেছ ভুলুন্ঠিত।ছাত্ররা পাচেছ না উপযুক্ত নীতি, নৈতিকতা, শালীন আচরণ শিক্ষা। এই যে অপসংস্কৃতি ও দৌরাত্ম্য তৈরী হয়েছে, তা থেকে বের হওয়া একান্ত আবশ্যিক।অহংবোধ ও কি হইনুরে’র মানসিকতা পরিহারে রয়েছে আমাদের সার্বিক মুক্তি।

     মানুষের প্রতি মানুষের যে আস্থা, বিশ্বাস, ভরসা রাখার কথা, তা আজ হারিয়ে গেছে, যাচেছ ক্রমান্বয়ে। মানুষ লোভ লালসায়, অঢেল সম্পত্তির মালিক হবার প্রত্যাশায়, বড় লোক হবার নেশায়, আত্ম-সম্মানী হবার লোভে মত্ত সর্বদা। “গায়ে মানে না আপনি মডল” এ অভিধায় হয়েছে সিক্ত। কথায় কথায় প্রকাশ পাবে অত্যাচার, নির্যাতন করার সকরুন সুর, গায়ের জোর প্রকাশের সচিত্রতা, দেমাগী কথাবার্তা ইত্যাদি। এগুলি যেন তার মজ্জাগত অভ্যাস। রক্তের সাথে মিশে গেছে। আত্ম-গরিমায় প্রকাশ করতে চাইবে, “ আমি হলাম দশ গ্রামের মোড়ল ”। যদিও অনেক আগে মোড়লের পদ পদবী হয়েছে এ সংস্কৃতি বা আধুনিক সভ্যতা থেকে লুপ্ত।হাবভাবে বুঝা যায় মরন নামক শব্দটি তার ধার কাছে ঘেসতে পারবে না। হয়ে গেছে মৃত্যুঞ্জয়ী। যেমন করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। মহাপরাক্রমশালী আমেরিকা , বৃটেন যেখানে পরাভুত, নিশ্চুপ। সেখানে সাহেদ, সাবরিনা, শাহ আলমরা মৃত্যু নিয়ে পুতুল খেলায় মত্ত রয়েছে টাকার পাহাড় জমিয়ে আভিজাত্য প্রকাশের ধান্ধায়।

    আমরা অনেক সময় বলে থাকি,“শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ”।কিন্তু এ শিশুরা কোন ধরণের ভবিষ্যৎ তা মোটেই চিন্তা করি না। তা আমাদেরকে ভাবতে হবে গভীর বিবেচনায়। শিশুকে উপযুক্ত ও সচেতন নাগরিক হিসাবে গঠন করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সচেতন থাকতে হবে মা-বাবাসহ অভিভাবক মহল। তাঁদের ভুমিকা অপরিসীম একটি শিশুকে গড়ে তুলার ক্ষেত্রে। একটি বৃক্ষ যেমন রোপন করে আমরা সঠিক ফলের আশা করতে পারি না পরিচর্যাবিহীন।বৃক্ষের যেমন পরিচর্যার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তেমনি শিশুকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম।স্কুল বা মাতাপিতাসহ মুরব্বিয়ানদের কাছ থেকে যদি সে শুনে , সর্বদা সত্য কথা বলা,সৎপথে চলা, ভাল-মন্দ ইত্যাদি বুঝিয়ে বললে অবশ্যই তার প্রভাব শিশু মনে কার্যকরী ভুমিকা রাখবে, সে ধাঁচে গড়ে উটবে।তাদেরকে ধারণা দিতে হবে সঠিক ভাবে, মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলতে হবে, পারিপার্শ্বিক অবস্তা সম্বন্ধে সম্যক উপলব্ধি জাগ্রত করতে হবে।

    একে অন্যকে নির্যাতন করতে হচ্ছে না দ্বিধান্বিত। পরিবারই হচেছ সমাজ গঠনের হাতিয়ার। পারিবারিক বিরোধই সৃষ্টি করে অশান্তি, নির্যাতন, অত্যাচার, হিংসা ও হানাহানি। এক্ষেত্রে ভু-সম্পত্তি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের পরিমাণ বেশি।অপরের সম্পদের প্রতি লুলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে এক শ্রেণীর মানুষ।এক্ষেত্রে দুর্বল হলে তো আর কথাই নেই।প্রতিবেশির প্রতি প্রতিবেশির হক বেশি। কিন্তু দুর্বল কোন প্রতিবেশির নিকট যদি সবল, লোভী, হিংসাপরায়ন প্রতিবেশি থাকে। তবে ঐ দুর্বলের আর রক্ষা নেই।কথায় কথায় নির্যাতন।এ প্রতিবেশি দেখবেন নির্যাতনের ক্ষেত্রে বোয়াল মাছে ও আঁশ থাকে জাতীয় কথা মালার ব্যবহার। আমরা নারী নির্যাতনের কথা জানি। নারী নির্যাতন বলতে বলতে এক সময় শুরু হল পুরুষ নির্যাতন।নারী নির্যাতনের কঠোরতায় সুযোগ সন্ধানীরা পেয়ে গেল নারী নির্যাতনকে হাতিয়ার করে প্রতিশোধ পরায়নতা, প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের হাতিয়ার রুপে ব্যবহার, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ইত্যাদি।পাঠক জোড় হস্তে ক্ষমা প্রার্থী, তাই বলে আমি নারী নির্যাতনের পক্ষপাতি নই মোটেই। নারী নির্যাতনের পাশাপাশি অন্যান্য নির্যাতনের ও ঘোর বিরোধী। এক কথায় কোন প্রকার নির্যাতন দেখতে চাই না, তা থেকে উত্তোরণের প্রত্যাশা আমার মনে প্রাণে । হোক তা মানসিক, শারিরিক অথবা অন্য কোন প্রকার।আমার এক বন্ধু সে দিন কথা প্রসঙ্গে বলল, এক স্থানে তার বিচারে যাবার সুযোগ হয়েছিল। বিচারে যা প্রাপ্তি ঘটল , তা হচ্ছে নিম্নরুপ-দুই সবল প্রতিবেশির মধ্যখানে দুর্বল এক প্রতিবেশির অবস্তান। দুর্বলের মুখ খোলার সুযোগ নেই। মুখ খোলতে চাইলেই শুরু গালাগালি অশ্রাব্য, হুমকি-ধামকি ইত্যাদি।ডান দিকের প্রতিবেশি যখন শুরু করে নির্যাতন। তখন বাম দিকের প্রতিবেশিকে বললে জবাব দেবে, দেয়। সে নির্যাতন করলে আমি কি করব। অনুরুপ বাম দিকের প্রতিবেশি নির্যাতন করলে ডান দিকের প্রতিবেশির জবাব। অন্যান্য গ্রামবাসী দুর্বলের জন্য দুষমন না হবার বাসনা সমৃদ্ধ।আজ দখল করে বাম দিকের প্রতিবেশী কিছু জায়গা, ১৫/২০ বৎসর পর ছেড়ে দেয়। আবার দখল করে গায়ের জোরে এ খেলা নিত্যদিনকার। সঙ্গে আছে অন্যান্য মানসিক নির্যাতনের সচিত্রতা। অপর প্রতিবেশি অনুরুপ পিলার রয়েছে পোতা । তারপর ও ক’দিন পর দেখবেন তা সরে গেছে। দোষ ছাপাবে দুর্বলের উপর।এ খেলায় রাখছে, করে যাচেছ সর্বদা নির্যাতন। কবরস্তান নিয়ে ও প্রতারণা। তাদের কোন কিছু বিন্দু পরিমাণ ছাড় পাবে না দুর্বল।বার বার মানে কিছুদিন পর পর বলবে দুর্বলের অংশে তারা আরো ভুমি পাবে। কিন্তু অহরহ দুর্বল সহ্য করে যেতে হচেছ নির্যাতনের দগদগে ঘা।কথায় কাজে একটি বার ও শুনাবে না মানবিক, মনুষত্ববোধ জাতীয় কথামালা।বরঞ্চ শুনাবে উপহাসমুলক কথাবার্তা। করবে কথায় ও কাজে বিদ্রুপের অট্রহাসি। অপরদিকে মানবাধিকার মানুষের অধিকার। এ বিশ্বের সব ক’টি দেশে ১০ই ডিসেম্বর পালন করা হয় মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলো সর্বসম্মতি ক্রমে সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ গৃহীত করে এ দিবসটিকে ।তাছাড়া সার্বজনীন মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ দিনটিকে বেছে নেয়া হয়।  উপহার সর্বক্ষণ নির্যাতন। এ জাতীয় নির্যাতন দুরীভুতে সকল মহলের সহযোগিতা , দুরীকরণে আন্তরিকতা, সদিচছা থাকা আমার কাম্য। একটি আইন করা জরুরী সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি বিনীত ভাবে কাম্য। ভেবে দেখবেন সচেতন মহল বিষয়টির ব্যাপারে।সমাজের এ সব বৈষম্য দুর করতে সমাজে মানবিক ও মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ গড়তে হবে সর্বাগ্রে।

    বাংলাদেশের সংবিধানে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সব মানবাধিকার ও সুশাসনের নিশ্চয়তার বিধান রাখা হয়েছে। সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্টার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ প্রণয়ন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত আছে মৌলিক অধিকার সমুহের মধ্যে আইনের দৃষ্টিতে সবার সমঅধিকার ( অনুচেছদ ২৭) ধর্ম, গোষ্টি, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে সবার আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারের কথা (অনুচেছদ ৩১ এবং ৩৩)।মানুষের অধিকার মানবাধিকারের একটি স্বীকৃত অধিকার হিসাবে বহুলাংশে গৃহীত হয়েছে। আরো রয়েছে মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা, মানুষের ‌মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার ঘোষণা রয়েছে।বলা আছে বন্ধনহীন অবস্তায় এবং সমমর্যাদা ও অধিকারাদি নিয়ে সব মানুষই জন্ম গ্রহণ করে। প্রত্যেককে বুদ্ধি ও বিবেক দেয়া হয়েছে।ভ্রাতৃত্ব সুলভ মনোভাব একে অন্যের প্রতি পোষণ করা, আচরণ করা উচিত। প্রত্যেকের জীবন ধারণ , স্বাধীনতা ও ব্যক্তি নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। সুতরাং কাউকে নির্যাতন, নিষ্ঠুর, অমানসিক অথবা অবমাননাকর আচরণ অথবা মানষিক নির্যাতন করা যাবে না।যা মেনে চলার কথা, তা আমরা (সব নয়) মানি না, পালন করি না। চলি উল্টো পথের পথিক হয়ে। আল্লাহর দরবারে কামনা, করজোড়ে প্রার্থনা সবাইকে নীতি, নৈতিকতা মেনে চলার তওফিক প্রদানের।যার যা ইচ্ছা তা আকড়ে না ধরে সুন্দর, সততা, নৈতিকতায়, বিনয়ী, শালীনতা, ভদ্র ও মার্জিত আচরণের অধিকারী হবার প্রত্যয়ী প্রত্যাশা এ মোর হৃদয়জ আর্তি।

   ইসলাম পরম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কিন্তু শুধু আত্মকেন্দ্রিক বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক ধর্ম নয়।“ যে ব্যক্তির উৎপীড়ন ও অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশিগণ নির্ভয় হতে পারে না, সে ব্যক্তি মুসলমান নয়” নবী করিম (স:) এর এই বাণী দ্বারা প্রতিবেশির প্রতি কি ধরণের আচরণ করা প্রয়োজন তার দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়।কলেবর বৃদ্ধির শংকায় আমাকে এখানেই সমাপ্তি টানতে হচ্ছে।

লেখক- মিজানুর রহমান মিজান সম্পাদক দীপ্তি , সাবেক সভাপতি বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব, বিশ্বনাথ , সিলেট।                

       

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews