মোঃ জোসেপ আলী চৌধুরী মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামাল পুর ইউনিয়নের শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন লেখা বিল নামক হাওরের পুর্ন খননের কাজ শুরু হোক। সংযুক্ত নসকল খাল সংস্কার সহ ১৯৫৬ইং সনের এস এ ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় ভুক্ত ভোগী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৩নং কামাল পুর ইউনিয়নের লেখা বিল নামক হাওর শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ভুমি অধিদপ্তরের রেকর্ডকৃত পুরাতন হাওর বিল। এই বিল বতর্মানে সংঙ্কারের কারণে মাটি ভরাট সহ বিভিন্ন কুচরিপনা সহ কলমি গাছে জঙ্গলে পরিনত হয়ে গিয়েছে।যার জন্য হাওর এলাকার জনগণের কৃষি জমিতে ধানচাষ, শস্য সহ বিভিন্ন রকম ফসলাদি উৎপাদন করতে পারছেন না। সঠিকভাবে মৎস্যচাষ হচ্ছে না। ভরাট হয়ে যাওয়ার পুর্বে ঐতিহ্যবাহী লেখা বিলের মধ্যে কামাল পুর ইউনিয়ন সহ আশ পাশের সকল ইউনিয়নের লোকজন বর্ষা মৌসুমে নৌকা যোগে এসে মাছ শিকার করতেন। মৎস্যজীবীরা মাছ শিকার করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করতেন। বিভিন্ন গ্রাম এলাকার লোকজন গরু ছাগলের জন্য নৌকায় গিয়ে বিল সহ আশপাশের জমিন থেকে খাদ্য সংগ্রহ করতেন। হেমন্তে খালগুলোর মধ্যে পানি থাকতো, লোকজন মাছ সহ কৃষি জমির মধ্যে পানি দ্বারা জমিতে ধানচাষ ও বিভিন্ন রকম ফসলাদি উৎপাদন করতে পারতেন। লোকজন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে চলাচল করতে পারতেন। বর্তমানে সময় শত শত বিঘা জমিতে কোনো রকম ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। এতে লোকজনের আয় কমে গেছে। বরং বেকারত্ব বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশের গণপ্রজাতত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিক নিদর্শনা দিয়েছেন বাংলাদেশের কোথায় যেন পতিত জমি সহ এক ইষ্ণি জায়গা খালি না থাকে, সব জায়গার মধ্যে সকল রকম ফসল উৎপাদন করতে হবে। যাহাতে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে খাদ্যর অভাব না থাকে। কোনো লোকজন বেকার না থাকে। বিভিন্ন রকম প্রদ্ধতি অবল্বন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।সেই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের সোনার বাংলাদেশ। বতর্মান লেখা বিল হাওর সহ খালগুলো ভরাট হয়ে বিভিন্ন ভাবে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অনেক জায়গার মধ্যে বিভিন্ন বাজে রকম গাছগাছড়ার কারণে লোকজন বিলের মধ্যে যেতে পারছেন না। এ জন্য কামাল পুর ইউনিয়নের সম্মানিত বতর্মান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আপ্নান আলী ইতি পুর্বে মৌলভীবাজার রাজনগর ৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব নেছার আহমদ এর মাধ্যমে খালের কিছু অংশ খনন করেছেন। এতে কিছু লোকজন সুফল পেয়েছেন। অনেক কৃষক কৃষি জমিতে ধানচাষ করেছেন। যার কারণে ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান খাল খনন সীমানা নির্ধারণের জন্য সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছেন। এতে সরকারি ভাবে বড় প্রজেক্ট দ্বারা ঐতিহ্যবাহী লেখা বিলের সমস্ত খাল বিল খনন করা হলে কামাল পুর ইউনিয়ন ৫ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন ২ নং মনুরমুখ ইউনিয়নের জনগণের কৃষি জমিতে ধানচাষ সহ বিভিন্ন রকম ফসলাদি উৎপাদন সহ গরু ছাগল হাস মুরগি ও খামারে উৎপাদন বাড়বে। তাছাড়া খাল বিলের মধ্যে পানি থাকবে হেমন্ত। বাড়বে মাছের উৎপাদনও। অত্র এলাকার লোকজন মাছের ছাহিদা পুরন করতে পারবে। লোকজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। নৌকা যোগে যাতায়াত করে বিভিন্ন গরু ছাগলের জন্য খাবার ঘাস সহ লতা পাতা ইত্যাদি সংগ্রহ, মাছ শিকার করে মানুষের আয় উপার্জনের রাস্তা তৈরি হবে। সরকারি ভাবে জরুরী ভিত্তিতে শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী লেখা বিল হাওর খাল পুর্ন খনন সংঙ্কার সহ পানি চলাচলের উপযুক্ত ব্যবস্থা, সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা খাল বিলের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য রাজনগর ৩ চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ জেলা প্রশাসক তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার, উপ পরিচালক কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তর মৌলভীবাজার চেয়ারম্যান সদর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর মৌলভীবাজার সহ সকলের নিকট সকল ইউনিয়ন এলাকার ভুক্ত ভোগী জনগণের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। জরুরী ভিত্তিতে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করে শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী লেখা বিল হাওর পুর্ন খনন সহ সকল প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকার জনগণের পক্ষে জোর দাবি জানাচ্ছি।