নড়াইল প্রতিনিধিঃ
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দূনীতির মাধ্যমে নড়াইল শিব শংকর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্বরুপ কুমার বিশ্বাসকে চুড়ান্ত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক তপন কুমারের বিরুদ্ধে।
নড়াইল শিব শংকর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক স্বরুপ কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত করেছেন। এ নিয়ে চায়ের দোকান থেকে সর্বত্র চলছে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়।
বিদ্যালয়ের একাধিক অভিবাবক সদস্য অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক গোপনে একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক স্বরুপ কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত করেছে। অভিবাবক সদস্যরা আরো অভিযোগ করে বলেন, ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ডে সবার সম্মলিত প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তাই প্রধান শিক্ষক তার নিজস্ব লোক কৃষ্ণলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে রেখেছেন এবং এরা স্বরপ বিশ্বাসকে আগাম প্রশ্ন ফাঁস করে দিয়েছেন।
সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনকারি নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোছাঃ সামিনা পারভীন অভিযোগ করে বলেন,নড়াইল শিব শংকর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস আমাকে আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করে বলেন, আমরা নিজেদের স্টাফ থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিব। বাইরে থেকে নিব না।এ জন্য স্কুলের আরও ২জন শিক্ষককে প্রক্সি দেওয়ার জন্য আবেদন করানো হয়েছে।
একাধিক আবেদনকারি নাম প্রকাশ না করে অভিযোগ করে বলেন,প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক স্বরুপ কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত করেছে।এ কথা এখন সকলের মুখে মুখে।তাহলে আমাদের এত টাকা খরচ করে আবেদন করার কোন মানে হয় না।আমরা এই নিয়োগ বোর্ড পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও দূনীতিমুক্ত পরীক্ষা আয়োজনের দাবি করছি।
স্বরুপ কুমার বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।প্রার্থীদের দাবি নিয়োগ বোর্ড পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসকের অধীনে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে বলেন, এটা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস এর মোবাইল ফোনে সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।