মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু নড়াইলঃ নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্তোজার উদ্যোগে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হলো লোহাগড়া পৌর এলাকা। নতুন করে আরো ১০০টি সিসি ক্যামেরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাগানো হয়েছে। পৌর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি,বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ পুলিশি নজরদারি বাড়াতে এই ক্যামেরাগুলো কাজে লাগানো হয়েছে।
নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো.তরিকুল ইসলাম অনিক এটিএন টাইমসকে জানান,আপরাধমুক্ত নড়াইল জেলা গড়তে সাসংদ মাশরাফি বিন মোর্তোজার এই উদ্যোগ। তিনি বলেন,সিসি ক্যামেরাগুলো নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং লোহাগড়া থানা নিয়ন্ত্রণ করবে। এতে পৌর এলাকার সব ধরণের অপরাধমুলক কার্যক্রম রোধ করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, দুই বছর আগে ৫৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। এতে শহরের অনেক অপরাধমুল কর্মকান্ড কমে যায়। এবার আরো ১০০টি ক্যামেরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে লাগানো হচ্ছে। লোহাগড়া উপজেলা শহরের কোথায় কি ঘটছে তা পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে চলে আসবে। কমে আসবে নানা ধরণের অপরাধমুলক কর্মকান্ড। ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হবে মাশরাফির ক্লিন নড়াইল,ড্রিম নড়াইলের স্বপ্ন।
লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.হায়াতুর রহমান বলেন,নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্তোজা একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি। তিনি নড়াইল জেলাকে সন্ত্রাস,মাদক,চুরি-ডাকাতি,ছিনতাই,রাহাজানি,নানাবিধ অপরাধমুলক কর্মকান্ডমুক্তসহ ক্লিন নড়াইল,ড্রিম নড়াইল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান। যে কারণে তিনি নড়াইলে আসলেই ঘরে বসে থাকেন না। প্রতিদিন ফজরের নামাজ আদায় করেই তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়ান। কোথায় কি সমস্যা নিজ চোখে তা দেখতে চান এবং নিজ কানে মানুষের কথা শুনতে চান। এমন মানববান্ধব ও দেশ প্রেমি সাংসদ দেশ স্বাধীনের পর খুব কম দেখা গেছে। জয়তু হে সাংসদ।
লোহাগড়া পৌর মেয়র মো.আশরাফুল আলম বলেন,সাংসদ মাশরাফির বিন মোর্তোজার বিকল্প তিনি নিজেই। সমাজ উন্নয়নে তিনি যে কাজগুলো করে যাচ্ছেন তার তুলনা নেই। তিনি বলেন,আমি মনে করি লোহাগড়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম কোনো এমপি ব্যাপক উন্নয়নের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি একজন নিরহংকার,নির্লোভ,ত্যাগী এবং স্বজ্জন ব্যক্তি। আমি তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন,সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে নড়াইলের অপরাধমুলক কর্মকান্ড অবশ্যই কমে যাবে। এর আগেও সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্তোজা নড়াইল এবং লোহাগড়া উপজেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্যামেরা স্থাপন করেন। এবার আরো ১০০টি ক্যামেনা স্থাপন করলেন। তার স্বপ্ন ক্লিন নড়াইল,ড্রিম নড়াইল বির্নিমানে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তার কাজগুলো নিঃসন্দেহে প্রশসংনীয়। এগিয়ে যাক তার উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ!