এইচ এম বাবুল, কুড়িগ্রাম থেকেঃ শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা গেল না কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মেঙ্গলিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। গতকাল ভেঙে পড়ে বিদ্যালয়টির একাংশ। যে কোনো সময় অবশিষ্ট অংশ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। ধরলার ভাঙনে মেঙ্গলিরচর খন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের চারটি কক্ষের মধ্যে একটি কক্ষ হেলে পানিতে পড়েছে। যে কোনো মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বিদ্যালয়টির পুরো ভবন। এ নিয়ে সমকালে খবর প্রকাশ করা হলে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা দেয়। দফায় দফায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন সেখানে। প্রতিশ্রুতি দেন বিদ্যালয়টি রক্ষার। অথচ ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও জিও ব্যাগ পড়েনি সেখানে। ফলে ধরলার অব্যাহত ভাঙনে দুমড়েমুচড়ে ভেঙে পড়েছে পানির নিচে। দুটি কক্ষ বিচ্ছিন্ন হয়ে বালুর নিচে পড়েছে। অফিস ও একটি কক্ষ রয়েছে শুধু। যে কোনো সময় চলে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের ৩০ বছরের সব স্মৃতি। তা ছাড়াও ওই গ্রামটির বসবাসকারী শতাধিক পরিবারের জমিজমা ও মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে ধরলার ভাঙনে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুতের। তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগের তার। এমন অবস্থায় আতঙ্কে রয়েছে ওই অঞ্চলের অধিবাসীরা। প্রধান শিক্ষক সুবর আলী জানান, অনেক কর্মকর্তা পরিদর্শন করে গেছেন; কিন্তু ভাঙনরোধের ব্যবস্থা নেননি। যার কারণে দুটি কক্ষ ভেঙে পানিতে পড়েছে। এ বিষয়ে ইউএনও তৌহিদুর রহমান বলেন, ভাঙনরোধে পাউবো কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ৫০০ জিও ব্যাগ সেখানে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।