বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ পৌর শহরে দেশের প্রথম নির্মিত প্রবাসী চত্ত্বরের চারপাশে লাগানো হচ্ছে ব্যানার, পোস্টার ও ফ্যাস্টুন। এতে নষ্ট হচ্ছে চত্বরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ। ব্যানার ফ্যাস্টুনে চত্বরের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় পথচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে দিনদিন।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পৌর এলাকার ‘বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়ক ও উপজেলা পরিষদ সড়কের’ সংযোগস্থলে দেশের প্রথম ‘প্রবাসী চত্বর’ নির্মিত হওয়ায় সকল মহলে এটি প্রশংসিত হয়। বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ পোস্টার, ব্যানার লাগিয়ে চত্বরের সৌন্দর্য নষ্ট করছেন বলে দাবী করছেন অনেকেই।
চত্বরটির দেওয়ালে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সাংকেতিক চিহ্ন অঙ্কিত রয়েছে। অন্য মুদ্রার সাথে সবার উপরে রাখা হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রার সাংকেতিক চিহ্ন। প্রবাস থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স (অর্থ) দেশীয় মুদ্রাকে শক্তিশালী করছে-এমনটি বোঝাতেই সকল মুদ্রার উপরে স্থান দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রার সাংকেতিক চিহ্নকে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্মান জানাতেই মূলত চত্বরটি নির্মাণ করা হয়েছে এমনটি বলা হয় উদ্বোধনের সময়। বিগত ২১ সালের শেষের দিকে বিশ্বনাথের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ চত্বরটিকে ‘প্রবাসী চত্বর’ হিসেবে নামকরণ করেন। এবং সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের দেওয়া বরাদ্দের (১৫ লক্ষ টাকা) মাধ্যমে চত্বরটির নির্মাণকাজ শেষ হলে আনুষ্ঠানিক ভাবে এটি উদ্বোধন করা হয়।
এটির সৌন্দর্য্য রক্ষার্থে স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান, জিয়াউল হক, মুজিবুর রহমান, কবির উদ্দিন ও একাধিক পথচারী ব্যানার, ফ্যাস্টুন না লাগানোর দাবি জানিয়েছেন। এবং সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন যাতে কেউ চত্বরের সৌন্দর্য নষ্ট না করতে পারে তা যেন নজরদারিতে রাখা হয়।