রাকিব হোসেন, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলাধীন বহুল আলোচিত দহগ্রাম আংগারপোতা ২ নং ওয়ার্ড এলাকায় আজ বুধবার বিকেলে আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাবিউলের বাড়িতে ভারতীয় গরু তল্লাসী করতে যান আঙ্গারপোতা বিজিবি বিওপি’র হাবিলদার আকরাম সহ ৫ সদস্য। কাটাতার বিহীন ওই সীমান্তবর্তী প্রতিটি বাড়িতে গরু পালন করা হয়। দেশি দু’টি আড়িয়া গরু বিজিবি সদস্যরা ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাড়ির গৃহবধূ রেমি বেগম সাহস করে বিজিবি’র হাতে থাকা রশি ধরে কুরবানির গরু কেন ধরবেন প্রশ্ন করেন বিজিবিকে। এ সময় মাসুদ নামে এক জন বিজিবি’র সদস্য জোর করার চেষ্টা করলে গৃহবধূ রেমির চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকাবাসী।
এরপর গরু ছাড়াই বিজিবি’র টহল দল সটকে পড়েন।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা দেখা দিলেও পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নুরুজ্জামান প্রধান রাশেল (ইউপি সদস্য -৩নং ওয়ার্ড) হস্তক্ষেপে অনেকটা শান্ত হন উত্তেজিত লোকজন।
এ বিষয়ে বিজিবি’র পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার নজরুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থলে এসে বলেন বিষয়টি আমি দেখছি।
রংপুর ৫১ বিজিবি’র সিও লেফটেনেন্ট কর্ণেল ঈসহাক হোসেনের ফোনে যোগাযোগ করলে সংযোগ মিলেনি।
দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, কম বেশি দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে গরু আসে, এবং এ ব্যাপারে সবাই অবগত আছে, তাদের কোন কিছু করার থাকলে বর্ডারে করুক, সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে কেন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করবে বিজিবি।
দহগ্রাম চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রধান বলেন, বিজিবি’র বিআইপি গোয়েন্দা মাসুদ তাঁর কাছে গিয়ে বলেন,
বিজিবি’র ওই টহল সদস্যদের প্রত্যাহার করে নিবেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টা নিয়ে যাতে বাড়াবাড়ি না হয় সে জন্য অনুরোধ করেন বিজিবি’র গোয়েন্দা সদস্য।
এ বিষয়ে রংপুর বিজিবি’র উচ্চ পর্যায়ে কথা বলবেন চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রধান এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।