রাকিব হোসেন,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতা না রাখা ও নানা ধরণের অব্যবস্থাপনার কারণে এ বন্দর দিয়ে গাড়ি প্রবেশের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ময়লা- আর্বজনার ভাগাড়, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, পণ্য রাখার শেড সমূহে পঁচা দূর্গন্ধ, ম্যানহোলের ঢাকনা নেই, ধুলো- বালু রোধে পানি না দেয়া, সড়কে গর্ত, ওয়ে ব্রীজে যানজট, শৌচাগার ব্যবহার অনুপযোগীসহ বন্দর জুড়ে অপরিচ্ছন্নতার কারণে গাড়ি চালক, বন্দর ব্যবহারকারি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন।
বরাত এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধিকারী রেজাউল করিম ও তারকা ট্রেডিংয়ের আমদানিকারক সাদিকুর রহমান মানিক বলেন, স্থলবন্দরে প্রবেশের গেটের সামনে বড় বড় গর্ত। অনেক ম্যানহোলের ঢাকনা নেই। ফলে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা গাড়ি গর্তে পড়ে টায়ার, টিউব ফেটে যায়। এসব বিষয়ে আমদানি- রফতানিকারক, সিঅ্যান্ড এফ এজেন্ট, শ্রমিকরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ভারতের ভোটপাটি থেকে আসা ট্রাক চালক হিরেন রায় ও চ্যাংরাবান্ধা বন্দর থেকে পাথর নিয়ে আসা চালক শাহীন আলম বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরের গেট থেকে শেডে প্রবেশে সড়কের বেহাল অবস্থা। খানা- খন্দকে ভরা। প্রায়ই ট্রাকের চাকা নষ্ট হয়ে বিকল হয়ে পড়ে। আমাদের সমস্যা হয়।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আইয়ুব আলী সরকার বলেন, রোদ উঠলে ধুলায় আচ্ছন্ন। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা। পঁচা দূর্গন্ধে কাজ করা যায়না। আমাদের অনেক কর্মচারী অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। উপ-পরিচালককে জানালে তিনি সমাধান না করে আমাদের সাথে রুঢ় আচরণ করেন।
বুড়িমারী শ্রমিক কল্যাণ ফেরডারেশনের সভাপতি সফর উদ্দিন বলেন, বন্দরের শেড গুলো থেকে পণ্য লোড- আনলোড করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুষি, ভুট্টা, সয়াবিন ও মাছের খাদ্য পঁচে গলে বিকট গন্ধে শ্রমিকদের জীবন বেড় হয়ে আসার অবস্থা। শ্রমিকরা কি মানুষ না। বন্দরের পরিচালককে বললেও তিনি কর্ণপাত করেন না।
এ ব্যাপারে বন্দরের উপ- পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভূঁঞা বলেন, আমরা তো এগুলো পরিস্কার করতেছি। এত পরিমাণ মালামাল লোড- আনলোড হচ্ছে বৃষ্টি, বাদল মিলে সব একাকার। প্রতিনিয়ত কাজ করছি। চেষ্টা করছি। ইদানিং খৈল, ভুট্টা বেশি আসছে। বৃষ্টিতে ভিজলে এগুলো গন্ধ ছড়ায় আরকি। হ্যাঁ এগিলি হয়, ঢাকনা- টাকনা থাকে না। আমরা লিখেছি। কিছু মেরামত করা হচ্ছে। ঢাকনা ছিল ট্রাকের চাপে ভেঙ্গে গেছে।
কাস্টমস্ সহকারি কমিশনার (এসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার বলেন, ব্যবস্থাপনার ব্যাপার গুলো বন্দর কর্তৃপক্ষ দেখে থাকে। অব্যবস্থাপনার বিষয়ে আপনারা তাঁদের সাথে কথা বলতে পারেন।