জহুরুল হক মিলু, লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধিঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি বীর নিবাস ঘর পেয়ে অনুভূতির কথা ব্যক্ত করার সময় কাঁদলেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ হানাদারবাহিনী ও শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা চালু,পর্যায়ক্রমে ভাতা বৃদ্ধি, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ্এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য বীর নিবাস নির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরার সময় কেঁদে ফেলেন জাতির সূর্যসন্তান অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সবুর। এ সময় গণভবনে ভার্চূয়ালি থাকা প্রধানমন্ত্রী আপ্লুত হয়ে পড়েন।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের সময় নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর তার অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর অনুভূতিব্যক্তকালে আরো বলেন,আমি ২০১৫ সালে কর্মহীন হয়ে পড়লেও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়ার কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়েপরে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। দ্বারে দ্বারে গিয়ে কারোর কাছে গিয়ে হাত পাতা লাগছে না। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া গোসলখানা, টিউবওয়েল, বাথরুমসহ সুন্দর একটা বাড়ি উপহার পেলাম। দেশের মানুষের জন্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা যা করলেন, ,সেজন্য আমি তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) সুস্বাস্থ্য কামনা করে নামাজ পড়ে সব সময় দোয়া করি। প্রধানমন্ত্রীর হায়াতবৃদ্ধিসহ তিনি যাতে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারেন তার জন্য আজ (বুধবার) ফজরের নামাজের সময় প্রাণখুলে দোয়া করেছি। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছি। এর আগে নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সবুরের কাছে।
এ সময় নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো: আব্দুর রশিদ,খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মঈনুল হক, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা সুলতানা,নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা,সদর উপজেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা,সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ,বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩ উপজেলায় মোট বরাদ্দপ্রাপ্ত বীর নিবাসের সংখ্যা ৩১৬টি।এ পর্যন্ত মোট ৮৭টি বীর নিবাস ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬টি বীর নিবাস, লোহাগড়া উপজেলায় ২৯টি বীর নিবাস এবং কালিয়া উপজেলায় ৪২টি বীর নিবাস রয়েছে।