বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে একটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের শেষের দিকে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনেন।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে প্রকল্পে অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহানের কার্যালয়ে গিয়ে ওই অভিযোগের তদন্ত করেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান।
সন্ধ্যায় তদন্তের বিষয়ে আপেক্ষমান স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান।
এসময় ইউএনও বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণের উপস্থিতিতে অভিযোগকারীদের মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। এসময় দু’জন ব্যক্তি ওই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অভিযোগ দিয়েছেন। আরও যারা অভিযোগ করেছেন তারা ওই প্রকল্পের বাইরে অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও বুধবারের (২৩ ফেব্রুয়ারী ) মধ্যেও তদন্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান।
জানাগছে, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলায় ‘নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’র নামে ৩৯ কোটি ৬লাখ ৫৮ হাজার টাকার একটি প্রকল্প বরাদ্দ পান উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। ওই বরাদ্দ পেয়ে ২০২১ সালের ৫ডিসেম্বর তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে সংবাদ-সম্মেলনও করেন।
এরপর ওই প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম এবং ৩৫ থেকে ৪০হাজার টাকা নিয়ে টিউবওয়েল বরাদ্দ দিচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুন মিয়া। এমন অভিযোগ এনে ২০২১সালের ২৩ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। ওই অভিযোগটি মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিন তদন্ত করেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরুল হাসান।
এদিকে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে আসার খবরে আগেরদিন সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ জন্য তদন্তের দিন মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ ও ইউএনও’র কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। তবে, শেষ পর্যন্ত আর কোন অঘটন ছাড়াই ইউএনও’র কার্যালয়ে তদন্তকাজ সম্পন্ন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ বানোয়াট, মিথ্যা।
এমপি মোকাব্বির খান সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া মানুষের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছেন এর যতেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। অনেকে তথ্য প্রমাণসহ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এবং আরও করা হবে।
Leave a Reply