পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক সৃষ্ট বন্যায় ইতিপূর্বে সিলেটের বেশ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়ে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
আগাম সতর্কবার্তা না থাকায় জৈন্তাপুর উপজেলা, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি সহ রাস্তাঘাট। ইতিমধ্যে উদ্ধার তৎপরতা ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকাবাসী।
সময় যত যাচ্ছে অন্যান্য নিম্নাঞ্চল ও প্লাবিত হচ্ছে। নদ নদীগুলোতে বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যার পানি নিম্নাঞ্চলে প্রবাহিতের কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সুরমানদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বিশ্বনাথে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা তৈরি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় বিশ্বনাথের নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে ছুঁই ছুঁই করছে পানি। কোথাও কোথাও ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতা অতিক্রম করলেই বিশ্বনাথে বন্যার পানি ঢুকে পড়বে। উত্তর বিশ্বনাথ এলাকায় সুরমানদী তীরবর্তী মাহতাবপুর, আকিলপুর, রাজাপুর, মাধবপুর এলাকার বাসিন্দারা প্রথমেই আক্রান্ত হতে পারেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবেলায় আগাম সকল প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার জানিয়েছেন ইতিমধ্যে উপজেলায় মোট ৫৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এপর্যন্ত উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলিয়ে মোট ৯ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাকি আশ্রয় কেন্দ্র গুলো খোলে দেওয়া হবে।
সার্বক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পরিসরে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। জনসাধারণের প্রতি আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন করার আহবান জানিয়েছে প্রশাসন।