ফারুক আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন ও ড্রিস্ট্রিবিউসনের সঞ্চালন লাইনের পাইপ মাটির গভীর থেকে বাহির হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ২নং খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাবিল পুর গ্রামের দক্ষিনে ভাটপাডা ও কাবিল গ্রামের মধ্যবর্তী স্হান এবং পাহাড়পুরস্থ দক্ষিণ পার্শ্বে নদীর তলদেশে জালালাবাদ গ্যাসলাইনের পাইপ বেরিয়ে পড়েছে। পাইপগুলো বেরিয়ে পড়ায় স্থানীয় এলাকায় জনমনে বিরাজ করছে এক অজানা আতংক। যে কোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
সিলেট হতে ছাতক পর্যন্ত জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন ও ড্রিস্ট্রিবিউসনের সঞ্চালন লাইন সংযোগের যে পাইপ মাটির নিচ দিয়ে টেনে নেওয়া হয়েছে সেটির একাধিক অংশ বিশ্বনাথ থানার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে মাটির তলদেশে অবস্তিত।
ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কাবিল পুর ও ভাটপাড়ার মধ্যবর্তী স্হানে খাল খনন করার সময় পাইপটির একটা অংশ বেরিয়ে পড়ায় খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
সিলেট হতে ছাতকগামী জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন ও ড্রিস্ট্রিবিউসনের সঞ্চালনের লাইন খাজাঞ্চি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে টেনে নেওয়া হয়েছে। খাল ও নদীর তলদেশ দিয়ে লাইনগুলো টানা হলেও বিগত বছর খাল ও নদী খনন করায় উক্ত স্থানে পাইপগুলো বেরিয়ে পড়ে। শীত মৌসুমে খাল ও নদীর পানি শুকিয়ে তলানিতে থাকায় পাইপ গুলির উপর দিয়ে মানুষজন এপার ওপার যাতায়াত করতে ও দেখা গেছে। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা গরু মহিষ নিয়ে আছেন বিপাকে। খাল ও নদীর অল্প পানিতে গোমহিষ গোসলে কঠিন সতর্কতা অবলম্বন করেও অনেকের গরু পাইপে ধাক্কা খেয়ে জখমী হচ্ছে হরহামেশাই। তাছাড়া স্থানীয় ছোট ছোট নৌকা চলাচলের ক্ষেত্রে যে কোন সময় বড় রকমের দূর্ঘটনায় পড়তে পারে বলে ঝুঁকি তো রয়েছেই। পাশাপাশি পাইপে মরিচা পড়ে পাইপগুলো লিকেজ হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ও রয়েছে।
সরজমিনে এব্যাপারে আজ রবিবার ২৫ এপ্রিল একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বললে তাদের সকলেই জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জোর দাবী উত্থাপন করেছেন যাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থানীয় জনগণের জানমাল রক্ষার তাগিদে এ বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন যথাশীঘ্রই। তা না হলে দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।
স্থানীয় কাবিল পুর গ্রামের কৃতিসন্তান ও সৎপুর কামিল মাদরাসার শিক্ষক ক্বারী মাওলানা জমির উদ্দিন বলেন তিন বছর পূর্বে সরকারিভাবে খাল খনন করলে পাইপটি বাহির হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ দিন যাবত এ অবস্হায় পড়ে থাকায় পাইপে জং ধরে লিকেজ হওয়ার সম্ভানা প্রবল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আজঅব্দি কোন রকম সুরাহা করে নাই। এমতাবস্তায় আমরা দুই তিনটা গ্রামের লোক এক অজানা আতংকের মধ্যে বসবাস করছি।
আনজুমানে আশিকানে মুস্তফা পরিষদ’র সভাপতি ও স্হানীয় কাবিল পুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল করিম বলেন খাল খননকালে পাইপ বাহির হওয়াতে গ্রামবাসী ভয় আর আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি বখতিয়ার আহমদ’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন খাল খননকালে মাটির নিচ থেকে গ্যাসের পাইপ বাহির হয়ে পড়ে, উক্ত পাইপের উপর দিয়ে বিদ্যুতের পাওয়ার গ্রিডের লাইন রয়েছে বিধায় যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে সুতরাং জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন ও ড্রিস্ট্রিবিউসনের সঞ্চালন লাইনটি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্তা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।