1. admin@asianexpress24.com : admin :
  2. asianexpress2420@gmail.com : shaista Miah : shaista Miah
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিএনপি নেতাকর্মীদের স্মরণে স্মরণসভা ও ইফতার মাহফিল কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল ঢাকায় পাটগ্রামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু লোহাগড়ায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা লোহাগড়ায় বিনামুল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্ধোধন এনআইডি পরিষেবা নির্বাচন কমিশনে রাখতে কোম্পানীগঞ্জে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী সেই শিশুটি মারা গেছে কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
শিরোনাম
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিএনপি নেতাকর্মীদের স্মরণে স্মরণসভা ও ইফতার মাহফিল কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল ঢাকায় পাটগ্রামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু লোহাগড়ায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা লোহাগড়ায় বিনামুল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্ধোধন এনআইডি পরিষেবা নির্বাচন কমিশনে রাখতে কোম্পানীগঞ্জে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী সেই শিশুটি মারা গেছে কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে ৬ বছরের শিশু ধর্ষ*ণের শিকার, অভিযুক্ত আটক বিশ্বনাথে মোবাইলকোর্টের অভিযানে জরিমানা আদায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে শাহ আরেফিন টিলায় অভিযান ফুলবাড়ীতে ৫৮ কেজি গাঁজাসহ পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাতীবান্ধা থানার ওসিকে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম

বিশ্বনাথে উন্নয়ন বিরোধী কারা

  • Update Time : শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১
  • ৩০৯ Time View
মুহাম্মদ সায়েস্তা মিয়া
বলা হয় ধনে-জনে, ইতিহাস, ঐতিহ্যে আলোকিত সিলেটের  বিশ্বনাথ উপজেলা। কিন্তু এখানে অনেক শয়তানের বসবাসও আছে তা অস্বীকার করা যায় না। এ জনপদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি প্রবাসীরাও অংশীদার। এ উপজেলায় প্রশাসনিক উন্নয়নের ধারাও আছে অব্যাহত। এছাড়া এ অঞ্চলে সময়ে-সময়ে রাজনৈতিক ভাবে আলোকিত দু একজন নেতার নেতৃত্বের হাত ধরে হয়েছে উন্নতি। উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করলে সামগ্রিক ভাবে বিষয়টি অনেক লম্বা হবে। আমি বিষয়টি লম্বা না করে সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও উন্নয়নের পথে কারা-কারা বাধাঁ হয়ে দাড়াচ্ছেন তা নিয়ে অল্পবিস্তর আলোচনা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি। (নিম্নে একটি নিউজে বাঁধাদানকারীদের নাম উল্লেখ আছে)।
এ আলোচনায় যোগ করছি আজ স্থানীয় প্রশাসনকে। স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাত ধরে যে উন্নয়ন হয়, তা নিয়ে অনেক সময় আলোচনার বাহিরে থেকে যায় উন্নয়নের বিষয়গুলো। কিন্তু এ সংহারটি ছেড়ে দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন চিন্তা করা বা হিসেবের খাতায় যোগ করা ঠিক হবেনা বলে আমি মনে করি। একটি জনপদের উন্নয়ন অংশীদার ধরতে হবে জনগণ, প্রশাসন, প্রবাসী, ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতকে ছুয়ে যেসব কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন হয় তাই ধরে নিয়ে। একটি এলাকা কে আলোকিত করা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। বিশেষ করে বিশ্বনাথ এলাকার উন্নয়ন নিয়ে মাঝে মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয় তা আমরা দেখে আসছি। থানা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন নিয়ে অনেকের চুলকানি আছে তা দিব্যি সত্যি। থানা প্রশাসন যদি বিশেষ কারো বিপক্ষে বিশেষ সুবিধা না দিয়ে অবস্থান করে তাতেই মহাভারত উল্টে দিতে এরা এমন কোন কাজ নেই যে তারা করেনা। উপজেলা প্রশাসন যখন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মনতুষ্টিতে বামহাত হয় তখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চেয়ারম্যান, এসিল্যান্ড সহ সবার বিরুদ্ধে সেই গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগে যায়। এতে শুধু উন্নয়নই বাধাগ্রস্ত হয় না বরং সার্বিক ভাবে জনপদ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে যারা বিশেষ সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তারাও লাঞ্ছিত বঞ্চিত হন অহরহ। এমন আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব কেন? কেন আমরা সকলের চিন্তা করতে পারি না? আমার স্বার্থে আঘাত আসলেই কেন আমি ক্ষ্যাপে যাই? আমি কি চাইনা এ জনপদে সবার অধিকার রক্ষা হোক!
এখন আসি সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে যে তর্ক বির্তক হচ্ছে সেই বিষয়ে, যার বিশ্লেষণের ভার এ অঞ্চলের বসবাসকারীদের উপর ন্যাস্ত করলাম। প্রায় দুই মাস হল বিশ্বনাথ উপজেলায় নতুন নির্বাহী অফিসার যোগ দান করেছেন। তিনি নির্বাহী ক্ষমতার পাশাপাশি পৌর প্রশাসক ও বটে। যিনি যোগদানের পর যা লঙ্কা কান্ড দেখিয়েছেন তা আমি অতীতে কখনও কোন প্রশাসকের কাছ থেকে দেখিনি। যুগের পর যুগ থেকে চলে আসা অনুন্নয়ন ও অবহেলায় আঁটকে থাকা কাজগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের কৌশল ও প্রদক্ষেপ নিয়ে উপজেলা ব্যাপী প্রসংশা করায়ত্ব করতে সময়ের ক্ষেপণ করেননি। তড়িৎ গতিতে জনহিতকর কাজগুলো করে দেশে বিদেশে প্রসংশা কুঁড়িয়ে নিয়েছেন তিনি।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো;
পৌরসভার ময়লার স্তূপের অপসারণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, প্রবাসী চত্বর নির্মাণ, পার্ক নির্মাণ, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নসহ ইত্যাদি।
এছাড়া তার কাজের স্বচ্ছতা প্রমাণে প্রতিদিনের কাজের আপডেট গণমাধ্যম তুলে ধরা সহ একজন কর্মপ্রিয় মানুষ ও জবাবদিহি মুলক চিন্তাভাবনার মনোভাব সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে যার কার্পণ্য নেই বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। কিন্তু পৌর-প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাসের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আর দিচ্ছি কই ! এ ধারা বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত করা হচ্ছে, এমনই মনে হচ্ছে এখন। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে যিনি বিশেষ গোষ্ঠীর সুবিধা দিতে নারাজ তারা তো তাকে শান্তিতে থাকতে বা কাজগুলো করতে দেবে না সে কথা কি আর সবার অনুমান করার ক্ষমতা আছে? সেটা আন্দাজ করতে পারলে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সদ্য হাতে নেওয়া উদ্যোগ ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লা পরিস্কার করণ, ড্রেন নির্মাণে কে বা কারা বিরোধীতা করে মানববন্ধন করতে পারে বাসিয়া নদীর উপর! বাসীয়া নদীর তীর খেয়ে, টনটন ময়লা ফেলে আর অবৈধ ভাবে বিল্ডিং নির্মাণ করে তারা ক্লান্ত নেই। যারা এ অপকর্মে বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ ও অপরাধের পুনরাবৃত্তি না করার জন্য আন্দোলন করছেন তাদের মনে আজ কি দুঃখ কি বেদনা?  কেন তারা এ অঞ্চলের মানুষকে এটা বুঝাতে পারছেননা যে, যারা ময়লায় ভরছে নদী, যারা রাস্তা ও নদী তীর দখল করে নির্মাণ করছে বিল্ডিং, রাস্তা দখল করে করছে মার্কেট, বাধাগ্রস্ত করছে প্রকৃতি ও সামগ্রিক সৌন্দর্য এরা সমাজের ও এ এলাকার এ জনপদের ভাল চায় না। ব্যক্তিকেন্দ্রীক উন্নয়ন জনপদের জন্য মঙ্গল নয়। এঁরা দুনিয়া নিয়ে কেন ব্যস্ত ?  কবরে তো কোন অপকর্মের ফল নিয়ে আরামে থাকা যাবে না! কখন হবে বোধদয়? কেন আজ মুষ্টিমেয় স্বার্থপরদের বিরুদ্ধে গণজনতার প্রতিবাদী আওয়াজ নেই। তবে আশা করতে পারি পৌরপ্রধানের এই প্রশংসনীয় কাজগুলো বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
পৌর প্রশাসকের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠার পর বিস্মিত না হয়ে পারিনি। অনেকের মন-মানসিকতা বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে। এই বিকলাঙ্গ থেকে দুই একজন যে ভাল মনের আছেন তাও লক্ষনীয়ভাবে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখছে। অনেকই পৌর প্রশাসকের পক্ষে যুক্তিক অবস্থান করছেন। যারা পৌর প্রশাসকের পক্ষে অবস্থান করছেন তাদের সাধুবাদ জানাই এ অধ্যায়ে। ফেসবুক সহ গণমাধ্যমে পৌর-প্রশাসকের পাশে থাকার মতামত ব্যক্ত করছেন বিভিন্নজন, যাদের চিন্তা ইতিবাচক। উন্নয়ন পেতে গিয়ে বাহানা সৃষ্টি যারা করছেন তাদেরকে আপনি আমি কোন তালিকায় রাখতে পারি তা নির্ণয়ের সময় এখন। কারা কারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে তাদের চিহ্নিতকরণ ও সময়ের দাবী।
বিগত দিনে কি হচ্ছে, কি ঘটছে যারা নিয়মিত খোঁজ রাখেন তারা একটু ভাবুন। বিষয়গুলো আরো পরিস্কার করে বলার জন্য নিম্নে দেওয়া লেখাগুলো ফলোআপ করুন। গণমাধ্যম থেকে হুবহু তুলে ধরেছি।
বিশ্বনাথে পরিবেশ আন্দোলন সহ সচেতন নাগরিকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত একজন সমাজসেবক নিচের লেখাগুলো লিখেছেন।
বিশ্বনাথে অবৈধ দখল উচ্ছেদের অপরাধে সহকারী কমিশনার ভূমি’র বিরুদ্ধে ২০১৬ সালেও মানববন্ধন করেছিলেো দখলবাজ। আজ জলাদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেইন করার অপরাধে ইউএনও’র বিরুদ্ধে আবার হয়েছে মানববন্ধন।
বাহ্ বিশ্বনাথী বাহ্! যখন অবৈধ দখল কেউ করলে আমরা কথা বলি না। প্রতিবাদ করি না। প্রতিবাদ করার মতো সৎ সাহস থাকে না। কিন্তু, ঠিক উল্টো অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে সরকার পক্ষ গেলে তাঁর বিরুদ্ধে হয় বিশাল বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা।
আবার যারা জলাদ্ধতা করে বড় বড় বিল্ডিং, মার্কেট, বাসা, বাড়ি তৈরি করার সময় কেউ কোন প্রতিবাদ করেনা, ড্রেইন দেয়ার বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন না, ঠিক উল্টো জলাদ্ধতা নিরসনের জন্য যখন সরকার পক্ষ থেকে ড্রেইন ব্যবস্থা করা হয়, তখন তাঁর বিরুদ্ধে হয় বিশাল মানববন্ধন।
আমরা মনে করি সড়ক পথ ও নদী পথের দুই পার আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যখন যার যা কিছু মনে হয়, তাই করবো।
আমি কারো পক্ষে কথা বলছি না। যা সত্য, তাই বলছি। লেখা দেখে অনেকেই খারাপ মন্তব্য করবেন জানি। জেনেও বলছি, যখন বাসা বাড়ি মার্কেট নির্মাণ হয়েছিল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? ড্রেইন ব্যবস্থা না করে বাসা বাড়ি নির্মাণ করতে দিলেন কেন? এখন যে জলাদ্ধতার কারণে সড়ক ভেঙে যাচ্ছে আর বার বার সরকার সড়ক সংস্কার করে দিচ্ছে, তখন তো নিজেদের সড়ক বলে নিজেরাই সংস্কার করেন নি? এখন সরকারের সড়ক কিভাবে রক্ষা করবে- এটি সরকারের বিষয়। সরকারের জায়গা সরকার পক্ষ বুঝবে কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়। এর জন্য মানববন্ধন করা একদম উচিত হয়নি। আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা উচিত ছিল।”
উপরোক্ত মতের সাথে আমিও একমত। এখানে ইউএনও কি অপরাধ করলেন তা আমার বোধগম্য নয়। কেন ইউএনও এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয় সেটা বিবেচনা করা আপনাদের দায়িত্ব মনে করছি।
এবার আসুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত মানববন্ধনের একটি হুবহু সংবাদ আমরা পড়ি। শিরোনাম দেখে প্রশ্ন জেগেছে আমার, আমরা কী সাংঘাতিক বুদ্ধিজীবী। কারণ কোন বিষয় আদালত কর্তৃক অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত বেআইনি বলা যায় না অথবা অপরাধী বলা যায় না। অথচ শিরোনামে বলা হয়েছে বেআইনী ভাবে ইউএনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে প্রশ্ন হলো আইন আমরা বেশি জানি নাকি যিনি আইন প্রয়োগ করেন তিনি বেশি জানেন। উন্নয়নের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি কিভাবে বেআইনি সিদ্ধান্ত নিলেন এটা আপনারাই ভাল করে বলতে পারবেন।
নিম্নের নিউজ টি দেখুনঃ
বিশ্বনাথে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও’র বেআইনী সিদ্ধান্ত: এলাকাবাসীর মানববন্ধন “
“সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও বে-আইনীভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সড়কে ড্রেন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসক ও ইউএনও’র এমন সিদ্ধান্তকে এলাকাবাসি অপরিকল্পিত মনে করছেন।

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করে প্রশাসকের এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দরা ফুঁসে উঠেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কালিগঞ্জবাজার, বরইগাঁও, তাজপুর, সদলপুর, শেখ রাসেল স্টেডিয়াম, নতুনবাজার রাস্তার প্রজেক্ট পরিবর্তন করে মুল রাস্তা সংকির্ণ অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা খুড়াখুড়ি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে বিশ্বনাথের পৌর প্রশাসক বে-আইনী সিদ্ধান্ত নিয়ে ড্রেণ নির্মাণ করেছেন। প্রতিবাদে এলাকাবাসি আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) পৌর শহরের বাসিয়া সেতুর ওপর মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসি।

বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি সিতাব আলীর সভাপতিত্বে ও বিশ্বনাথ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল তাহিদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মুরব্বী হাজী মো. পংকি মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া রেজু, বিশ্বনাথ উপজেলা যুবলীগ নেতা আব্দুর রকিব, সাইদুল ইসলাম, আব্দুল বারিক, সেজু মিয়া, কাওছার আহমদ, ফারুক আহমদ, যুবলীগ নেতা ফয়জুল ইসলাম জয়, মুহিবুর রহমান, হাজী ফজলুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রুপ, আব্দুল হাসিম, উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আলা উদ্দিন, সংগঠক আব্দুল কালাম, আব্দুল খালিক, ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম, মোজাম্মেল, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল আহমদ, জুবেদ আহমদ, সায়েম, ইমরান আহমদ, ইলাছ মিয়া, সুজন আহমদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে সড়কের কাজ না হলে সারা বছর জনদুর্ভোগ হবে। অপরিকল্পিতভাবে সড়কের কাজ না করে পরিকল্পিতভাবে করার জন্য পৌর প্রশাসক ও ইউএনও’র প্রতি জোরদাবী জানান।”

নিউজের ভাষাগত ব্যবহার নিয়ে দুটি কথা বলি। এ ধরণের অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের উদ্ধারের দায়িত্ব কে নেবে?  কে দেবে সুস্থ মানবিকতা ও নিরপেক্ষ ভাবে কথা বলার ক্ষেত্র তৈরি করে? নিউজ করার ধরণ নিয়ে আমি নতুন করে বলতে যাবনা। বিশ্বনাথের সাংবাদিক বন্ধুদের নিরপেক্ষ ও বুদ্ধিমান হওয়ার অনুরোধ থাকছে। আমি বাস্তবতায় দেখেছি প্রকৃত অপরাধীর আস্তানা দেখিয়ে দিলে কেউ নিউজ করার সাহস করে না অথচ ভাল বিষয় কে রাঙ্গিয়ে শব্দ ব্যবহার করা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছেন অনেক জন। কয়েকজন সংবাদ কর্মীর আত্ম অহংকার দেখলে লজ্জাবোধ জাগে।

আমরা ইতিমধ্যে চাউল ধনি হাওড় পাড় নিয়ে দেখেছি অনেক কিছুই। নিউজের পেছনের নিউজ নিয়ে কে আছে কলম ধরার উপযুক্ত এটা আজ ভাবার বিষয়। একশ্রেণি অপরাধীর পক্ষে লিড দিচ্ছে এক শ্রেণি সত্যের মোকাবিলা করতে ঘাম ঝরাচ্ছে।

সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে যারা নিজের সম্পত্তি মনে করছেন তাদের বিরুদ্ধেও সাংবাদিকতা কেউ চালাবে। আগামীতে চালিয়ে দেবে তা হয়তো সময়ই বলবে।

প্রশাসনে যারা আছেন তাঁদের ও খেয়াল রাখতে হবে জাত সংবাদকর্মী কারা আর পেটুক কারা।

এবার আসুন পৌর প্রশাসকের দৈনন্দিন উন্নয়ন কাজের মধ্যে দু-চারটি উদাহরণের দিকে নজর বুলাই। নিম্নে স্কিনসট গুলো দেওয়া হলো :

পৌর প্রশাসকের ভাষায়

“আজকের সকালের ছবিগুলো দেখুন। নিজের বিবেককে একটু জাগ্রত করার চেষ্টা করুন। পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহের পথ নদীকে দখল করেই আমরা ক্লান্ত নই বরং মানুষসৃষ্ট কৃত্রিম গতিপথ ড্রেইনকেও আমরা প্লাস্টিক আর পলিথিন দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছি। এর কুফল তো আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে একদিন।”

ছবিগুলো দেখুন আর এলাকা পরিদর্শন করে নিরপেক্ষ ভাবে আপনি বিচার করুন কারা এই জনপদের উন্নয়নের পক্ষে আর কারা উন্নয়নের বিপক্ষে।

আমাদের বিবেক তো আছে না নেই এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব আপনার ও আমার।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews