বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ দেশব্যাপী ভুমি-সপ্তাহ পালন ও অনলাইন ভিত্তিক ভুমিকর প্রদানের নিমিত্তে ডাটা এন্ট্রি কাজ চলছে। কিন্তু ডাটা এন্ট্রির কাজে প্রধান বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ইন্টারনেটের ধীরগতি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে ভুমিকর দাতাদের অনলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। 
আজ ১০/৬/২০২১ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় এই বিঘ্নিত কাজের বাস্তবতা দেখা গিয়েছে।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ব্যাপী চলমান ভুমিকর ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম পরিচালনার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্থানীয় ভুমি অফিস ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্থানীয় ভাবে মানুষের দৌড়গোড়ায় সেবার মান সম্প্রসারণের লক্ষে ডাটা এন্ট্রি নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। সে মোতাবেক উপজেলার ০২ নং খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়াগমহল ভুমি অফিস জনসচেতনতায় এলাকায় মাইকিং করে। স্থানীয় রাজাগঞ্জ বাজারে সকাল ১১ থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ডাটা এন্ট্রির কাজ চলবে মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। এবং যথাসময়ে অফিস কর্মকর্তাগণ তাদের যন্ত্রপাতি নিয়ে বাজারে উপস্থিত হন। ভুমিকর ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য তাদের ল্যাপটপ মোবাইল খোলে কাজ করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। কিন্তু এতে বাধ সাধে ইন্টারনেট গতি। ইন্টারনেট গতি না থাকায় কোন কাজ করা সম্ভব হয়নি। ডাটা এন্ট্রি সেবা গ্রহীতাগণ পড়েন বিড়ম্বনায়।
এ সময় স্থানীয় জয়নগর গ্রামের সেবাগ্রহীতা মোঃ মিজানুর রহমান মিজান সেবা গ্রহণ করতে তার কাগজপত্র কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা অনেক চেষ্টা করেও তার ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন করতে পারেননি। প্রায় ৩/৪ ঘন্টা চেষ্টা করেও কোন কাজ করতে না পারায় ভুমি কর্মকর্তা ও স্থানীয় সেবা গ্রহীতারা ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেন।
এসময় বিলপার গ্রামের ফয়জুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এলাকার প্রায় ৯৫% মানুষ গ্রামীণফোনের সীম ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। আমাদের এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের এবং ইন্টারনেটের গতি এতো দূর্বল যে কোন কাজই করা যায় না। ছেলে মেয়েদের অনলাইন ভিত্তিক পড়াশোনায় ও মারাত্মক বিঘ্নের শিকার হতে হচ্ছে। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি খুব প্রয়োজন।
প্রয়াগমহল ভুমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমরা দুঃখিত, আপনাদের সেবা দিতে না পারায়। তিনি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দিলে অনেকেই প্রতিবাদ করে বলেন ওখানের উদ্যোক্তাগণ চরম বাজে লোক। তারা টাকা ছাড়া কোন সেবা দিতে চায় না।
পরিশেষে ভুমি উপ-সহকারী খালেদ আহমদ ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জাহিদুর রহমান কোন কাজ না করেই অফিসে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।