ফারুক আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দুই তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, কখনো বা গুড়ি গুড়ি, কখনো মুষলধারে। বৃষ্টির পানি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুরমা নদী এলাকা সংলগ্ন মির্জার গাঁও, মাহতাবপুর, মাধবপুর, সাহেবনগর, শাহপুর, টেপিগন্জ, মাখর গাঁও, পাঁচ গাঁও এলাকার আংশিক, রসুল পুর এলাকার নিম্মাচ্ছল প্লাবিত হয়েছে।
বৃষ্টির পানি আর পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি রাস্তাঘাট। সরজমিনে মির্জার গাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সুরমা নদী সংলগ্ন মির্জার গাঁও গ্রামের সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ। বিভিন্ন স্হানে নতুন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে পানির নিচে, আমন ধান রোপন করার সাথে সাথে বন্যা আসায় তলিয়ে গেছে এলাকার ফসলি জমি। এতে হতাশায় এলাকার কৃষক। যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে বন্যার পানি বিপদ সীমার উপরে অতিক্রম করবে।
লামাকাজী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও উপজেলা আওয়ামীলের কার্যনির্বাহী সদস্য এনামুল হক এনাম বলেন, গেল কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লামাকাজী এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বীজতলা, নতুন রোপনকৃত আমন ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। করোনা পরিস্হিতি ও কঠোর লগডাউনে কৃষকরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত তার উপর বন্যায় ফসলি জমি ও চারা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয় এর বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সু দৃষ্টি কামনা করছি।
লামাকাজী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. ফয়ছল আহমদ বলেন, পাহাড়ী ঢল আর গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণের ফলে এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে এবং নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত ও হচ্ছে। এমতাবস্তায় লামাকাজী এলাকার আশ্রয়ন কেন্দ্রের লোকগুলো বেকার হয়ে পড়েছে, আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাই উপজেলা নির্বাহী মহোদয়ের সু দৃষ্টি কামনা করছি।