বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
বৃষ্টি হলেই থৈ থৈ করে পানি। ক্লাসরুমে পানি। আঙ্গিনায় পানি। প্রবেশ পথে পানি। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার ফুরসত নেই। পানি নিষ্কাশনের পথও নেই। ড্রেন ভর্তি ময়লা আবর্জনার স্তুপ। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে দিন দিন।
বিশ্বনাথ পৌরসভার পৌর শহরের নতুনবাজারে অবস্থিত হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের চিত্র এটি। মঙ্গলবার ৪ঠা জুন সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। উত্তরণের উপায় না পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিরুপায় এমনটি বলছেন তাঁরা। ক্লাস রুমে পানি উটে বৃষ্টি হলেই। পৌরসভার ড্রেনের সংস্কার করণ, রামপাশা লামাকাজি সড়কের পার্শ্বের দখল হওয়া খাল পুনরুদ্ধার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে এমন সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ নেই বলছেন স্থানীয়রা।
ড্রেন পরিস্কার না থাকায় বিদ্যালয়ে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় এ কলেজের মাঠ ও ক্লাসরুম । ময়লা আর্বজনায় ড্রেন ভরাট হওয়ায় পানি আটকে থৈ থৈ করে। বাসাবাড়ি ও বাজারে আবর্জনা পানিতে মিশছে হরহামেশা। রোগবালাইয়ের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের পাঠদান অব্যহত রাখছেন শিক্ষকরা। হাটুজল ডিঙিয়ে স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা রোজরোজ কলেজ আসতে অনিহা দেখাচ্ছেন।
সিলেটের বিশ্বনাথের হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এমন দূরাবস্থার অবসানে তদবির করা হয়েছে বিভিন্ন মহলে। পৌরসভার দায়িত্বে থাকা দপ্তর এ সমস্যাটি দেখভালের কথা কিন্তু কেউ করছেন না এমন অভিযোগ কজেল অধ্যক্ষের।
বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা বলেন, এ সমস্যাটি সমাধানের জন্য পৌরসভার দায়িত্বশীল ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, আপাতত কলেজের চারপাশের ড্রেনগুলো পরিস্কার করলে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যেত। ড্রেনটি পরিস্কার না করার কারণে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে বিদ্যালয়ের রাস্তা ও ক্লাস রুমগুলো ভরাট হয়ে পড়ে। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশে দূর্বিষহ অবস্থায় পড়েন। আমরা শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা উভয়ই কষ্টে আছি।
এব্যাপারে পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করেন নাই।