বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা হয়নি দেড়যুগের বেশি সময় ধরে। চরম ভোগান্তি আর অশান্তিতে এলাকাবাসী। এ নিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উপর ক্ষ্যাপে আছে জনতা। কাঁদা মাড়িয়ে চলতে হচ্ছে বছরের পর বছর। জনপ্রতিনিধিদের ধারে ধারে ধরণা দিতে দিতে ক্লান্ত অনেকেই। আশ্বাসের পর আশ্বাস পেয়ে যাচ্ছেন কিন্তু বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না পাকা করণ কাজ।
এ ব্যাপারে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার বেহাল চিত্র।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি- কামাল বাজার সড়কের সংযোগস্থল রহিম পুর হতে ইসলাম পুর- বন্ধুয়া সড়কটির দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা দীর্ঘ দেড় যুগেও পাকাকরণ হয়নি। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের আমলে সর্বমোট আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে এক কিলোমিটার রাস্তা ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া ইসলামাবাদ মাদ্রাসা পর্যন্ত ঢালাই করা হলেও ইসলাম পুর থেকে বন্ধুয়া পর্যন্ত বাকী দেড় কিলোমিটার রাস্তা আজও পাকাকরণ হয়নি।
জনবহুল বিশ্বনাথের রহিম পুর- ইসলাম পুর- বন্ধুয়া সড়কটি পাকা না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভের অন্ত নেই। এই সড়কের পাশে রয়েছে সিলেটের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া ইসলামাবাদ মাদ্রাসার অবস্থান। প্রায় হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতে হিমশিম খাচ্ছে। বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে সড়কটিতে কাঁদা জমে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। জেলা ও উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের ভোগান্তি কমিয়ে আনার উদ্যোগ কে নেবে কখনও নেবে কেউ বলতে পারেন না।
এ নিয়ে কয়েক দফায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ( সিলেট ০২) মোকাব্বির খানের দারস্থ হয়ে পাকাকরণের আবেদন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তিনি আশ্বস্ত ও করেন রাস্তাটি পাকাকরণ হবে কিন্তু কোন জটিলতায় কাজটি করা হয় না তা অনেকরই অজানা।
আবেদনের ব্যাপারে ইসলাম পুর গ্রামের বাসিন্দা ডাঃ গিয়াস উদ্দিন সোহাগ বলেন, আমি নিজেই কয়েকবার দরখাস্ত দিয়েছি সাংসদের কাছে এবং তিনি আশ্বাস ও দিয়েছেন, তবে কাজ কেন হয় না তা বলতে পারি না। ডাঃ গিয়াস উদ্দিন সোহাগের পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন রেজা ও বিগত মাসে এই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবীর দরখাস্ত নিয়ে এমপির শরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শীতকালীন সবজি চাষের উর্বর এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা, জরুরি রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণে এবং ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠের হাজার হাজার ছাত্র/ছাত্রীর কথা চিন্তা করে এ রাস্তা নিয়ে পেপার পত্রিকায় ঘটা করে লেখালেখি করা হয়। এতেও কারো নজর আকৃষ্ট না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন পথ নেই বলে মন্তব্য করেন গণমাধ্যম কর্মী সমুজ আহমদ সায়মন।
এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর অনেকেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এবং দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্কার প্রতিক এই সড়কটি দ্রুত পাকাকরণ করে জনদূর্ভোগ থেকে রেহাই পাইয়ে দিতে এলাকাবাসী আহবান জানিয়েছেন।