ষ্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জের বানিয়াচংঙ্গে সরকারিভাবে বোরো ধান ক্রয়ের লক্ষ্যে লটারির জন্য কৃষক বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত কৃষকদের সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ না করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খবির উদ্দিন ও কৃষি কর্মকর্তার এনামুল হক মনগড়া ভাবে করা তালিকা দিয়ে লটারির আয়োজন করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন উপজেলার প্রান্তীক কৃষকরা। মঙ্গলবার (৪মে) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা কৃষি অফিস ও খাদ্য অফিস আয়োজিত লটারি অনুষ্ঠানে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
জানা যায় , বানিয়াচং উপজেলায় এ বছর সকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ৩ হাজার ২ ৬৯ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। কৃষিকাজের আওতাভুক্ত জনপ্রতি কৃষকদের কাছ থেকে প্রতিকেজি ২৭ টাকা দরে ২ মেট্রিক টন করে ধান ক্রয় করা হবে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও প্রকৃত কৃষকরা অভিযোগ করেন, সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কৃষি অফিসার এনামুল হক খাদ্য নিয়ন্ত্রক খবির উদ্দিনের যোগসাজসে মনগড়াভাবে অফিসে বসেই কৃষকদের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। কোনো জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করা হয়নি। এতে প্রকৃত চাষিদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
তালিকা নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের তোপের মুখে পড়েন কৃষি অফিসার এনামুল হক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক খবির উদ্দিন। এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার এনামুল হক জানান, সময়ের স্বল্পতার কারণে কৃষকের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে কিছুটা অসঙ্গতি থাকতে পারে। উপজেলা খাদ্য অফিসার খবির উদ্দিন বলেন, কৃষকদের তালিকা প্রস্তুতের ব্যাপারে খাদ্য অফিসের কোনো হাত নেই। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস তালিকা করে থাকে। সেই তালিকা অনুযায়ী ই কৃষক বাছাই নির্ধারণ করা হয়।
এ দিকে উন্মুক্ত লটারি পরিচালনা অনুষ্ঠানের উপদেষ্টা হবিগঞ্জ ২ আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান কৃষকদের বরাদ্দকৃত পরিমানের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেন। সুত্র জানায়,সরকারিভাবে এবার মোট ১ হাজার ৬শ ৩৭ জনের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। প্রকৃত কৃষক জনপ্রতি ২৭ টাকা কেজি দরে ১০৮০ টাকা মনে ২ টন করে ধান দিতে পারবেন কৃষক।