বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের মুসলিম নারী ও পুরুষ কর্মকর্তাদের ইসলাম ধর্মীয় বিধানমতো কাপড় পরিধানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
অফিস বিজ্ঞপ্তি জারি করে মি. রহিম তার প্রতিষ্ঠানের পুরুষ কর্মকর্তাদের পায়ের গোড়ালির ওপরে পোশাক পরার এবং নারী কর্মকর্তাদের হিজাবসহ গোড়ালির নিচে পর্যন্ত কাপড় পরিধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন অফিসে পোশাক পরিধান নিয়ে কোনো নির্দেশনা সরকার বা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে দেয়া হয়নি।
আর বিজ্ঞপ্তিটিও জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের ওয়েবসাইটে না দিয়ে সরাসরি ওই অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাঠানো হয়েছে।
মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বিবিসি বাংলাকে বলছেন তিনি তার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচাতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
“দেখছেন সারা দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। সবাই ঠিক মতো ধর্মীয় বিধান মানলে তো এমন অবস্থা হতো না। তাই আমি আমার অফিসের সবাইকে সে অনুযায়ী পোশাক পরিধান করতে বলেছি,” বলছেন মি. রহিম।
কিন্তু একটি সরকারি অফিসে তিনি এ ধরণের ধর্মীয় ড্রেস কোড চালু করতে পারেন কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি তো কোনো ড্রেস কোড চালু করিনি। শুধু সবাইকে বলেছি মুসলিমরা যেন তাদের ধর্ম অনুযায়ী পোশাক পরে অফিসে আসেন। ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী জীবন যাপন জরুরি বলেই মনে করি আমি।”
জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং তাই অফিস কর্মকর্তা কর্মচারীদের পোশাক নিয়ে এ ধরণের নির্দেশ দেয়ার আগে মন্ত্রণালয় বা সরকারের অনুমতি নেয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “না অনুমতি নেইনি। কারণ এটা তো আমি আমার ইন্সটিটিউটের জন্য দিয়েছি।”
মিস্টার রহিম ওই আদেশে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসের সময়ে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট বা বন্ধ করে রাখারও নির্দেশনা দিয়েছেন। (বিবিসি বাংলা)