সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ
এশিয়ান ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সভাপতি বব মেনেনডেজ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মেনেনডেজের বিরুদ্ধে এর আগেও ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল।
তাকে ইতোমধ্যে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে এই ডেমোক্রেটকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফিসহ অনেক সিনেটর।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্যাংশনের আরোপের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন এই সিনেটর। পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পেছনেও কোনো ঘুষের লেনদেন আছে কিনা,সেটিও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেনেনডেজের বিরুদ্ধে এফবিআই-এর ৩৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ মধ্যে, নিউ জার্সির সিনিয়র সিনেটর এবং সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান সেনেটর মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী নাদিন মেনেনডেজ তিন মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়ায়েল হানা, জোসে উরিবে এবং ফ্রেড ডাইবেসের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়,সিনেটর মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী কয়েক লাখ ডলার ঘুষ নিয়ে এই ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে এবং মিশর সরকারকে লাভবান করতে তার ক্ষমতা ও প্রভাব ব্যবহার করেছেন। অভিযোগ করা হয়,, হানা, উরিবে এবং ডাইবেস নগদ অর্থ, স্বর্ণ, বাড়ির ঋণ পরিশোধ,, নাদিন মেনেনডেজের একটি লোক দেখানো চাকরি, মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সিনেটর এবং তার স্ত্রীকে দিয়েছেন।
মেনেনডেজের বিরুদ্ধে এর আগে নিউ জার্সিতে দাপ্তরিক সুবিধার বিনিময়ে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যক্তিগত ফ্লাইট, প্রচারাভিযানে ‘কন্ট্রিবিউশন’ এবং অন্যান্য ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে অভিযোগটির বিচার জুরির অভাবে অনিষ্পন্ন থেকে যায়।
সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর ট্রাম্প প্রশাসনকে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বরাবর যে ৮ জন সিনেটর চিঠি দেন তার নেতৃত্বে ছিলেন রবার্ট মেনেনডেজ।
বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তাদের কারো টাকা নিয়ে রবার্ট মেনেনডেজ সে সময় এ চিঠি দিয়েছিলেন কিনা, এটি এখন একটি বড় প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, বব মেনেনডেজের বয়স ৬৯ বছর। নিজ অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্য থেকেও নিউ জার্সির এই সিনেটরের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। তবে সিনেট কমিটির প্রধানের পদ ছাড়লেও সিনেটর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেনেনডেজ।