এইচ এম বাবুল, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
রোগের অসহ্য যাতনায় কাতর। ঠিক মত খেতে পারেন না, ঘুম নেই বহু রাত। কথাও বলতে পারেন না স্পষ্ট ভাবে। তবু ভাংগা ভাংগা কথায় যে টুকু বুঝালেন – বাঁচতে চান তিনি। আরও কিছু দিন। আদরের সন্তানদের মাঝে। সুখ -দুঃখ ভাগাভাগি করে থাকতে চান পরিবারের সাথে।
বলছি কাশেম ফারাজীর (৫৮) কথা। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই (৮নং ওয়াড) গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
৬ মাস আগে কাশেম ফারাজীর মুখের ডান গালে ছোট্ট একটি ফোঁড়া ওঠে। দিনে দিনে তা রূপ নেয় টিউমারে। ঢিলেঢালা ভাবে চলতে থাকে চিকিৎসা। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তা কাশেম ফারাজীর উপার্জনেই চলতো তার ৫ সদস্যের পরিবারের যাবতীয় খরচ। আর পরিবারের কর্তা হওয়াতে বাকিদের কিভাবে ভাল রাখা যায় সেই ভাবনাই ভাবতে হত তাকেই। যা আয় রোজগার হয় তা ছেলের লেখা পড়া আর সাংসারিক খরচ মেটাতেই শেষ। দিনশেষ জমা বলতে কিছুই থাকে না তার। বসতভিটার ৫ শতাংশ জমি ছাড়া নেই কোন আবাদি জমি। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অসুস্থ্যতায় জটিল সমস্যা দেখা দেয় পরিবারটিতে। এদিকে সঠিক চিকিৎসা না করায় টিউমার রূপ নেয় ক্যান্সারে। ভয়ঙ্কর ক্যান্সার দিনে দিনে কাশেম ফারাজীকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এখন প্রয়োজন দ্রুত সঠিক চিকিৎসার। কিন্তু চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা যা জোগাড়ের সামর্থ নেই কাশেম ফারাজী কিংবা তার পরিবারের।
এলাকাবাসী রফিকুল খন্দকার ও মকছেদুল হক বলেন, অসুস্থ্য ফারাজীর চিকিৎসার খরচ তার পরিবারের পক্ষে জোগান দেয়া সম্ভব না। আমরা গ্রামবাসীরা মিলে কিছু টাকা জোগাড় করেছি। কিন্তু তাতেও তো হচ্ছে না। আরও আর্থিক সহযোগীতা দরকার। ইউপি সদস্য মজিবর রহমান ও মফিজুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ্য ফারাজীর সুস্থ্যতার জন্য কয়েকটি থেরাপি দিতে হবে। তার চিকিৎসার খরচ যোগাতে আমরা সকলের কাছে আর্থিক সহযোগীতা চাচ্ছি।
এ বিষয়ে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খয়বর আলী মিয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে তার চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ দিয়েছি।পরিষদ থেকেও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফারাজীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।