রাকিব হোসেন, এশিয়ান এক্সপ্রেস টুয়েন্টি ফোর ডটকম প্রতিনিধিঃ
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, এনডিসি, পিএসসি (Major General A K M Nazmul Hasan, ndc, psc) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি অদ্য ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ অপরাহ্নে বিদায়ী মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এসপিপি, বিজিবিএম, এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি (Major General Shakil Ahmed, SPP, BGBM, nswc, afwc, psc)-এর নিকট হতে মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ০২ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি
১৫ জুলাই ১৯৮৬ সালে ১৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সাথে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন এবং ২৪ জুন ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব সায়েন্স (বিএসসি) ডিগ্রি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে ‘আর্মি স্টাফ কোর্স এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি)’ সম্পন্ন করেন।
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এ জেনারেল স্টাফ অফিসার
গ্রেড-৩ (প্রশিক্ষণ), একটি কম্পোজিট ব্রিগেডের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডজুট্যান্ট অ্যান্ড কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল এবং আর্মি হেডকোয়ার্টার্সে ডেপুটি প্রভোস্ট মার্শালের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এ কর্নেল জেনারেল স্টাফ, কুমিল্লা, ডিটাচমেন্ট কমান্ডার, ঢাকা এবং ডিজিএফআই সদর দপ্তরে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি রিজিয়নে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অপারেশনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি মিলিটারি পুলিশ ইউনিট এবং একটি পদাতিক ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও তিনি ১১ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং বগুড়া এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট কোর্স, মালেশিয়ায় অনুষ্ঠিত পিসকিপিং অপারেশন সেমিনার, চীনে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া কনফারেন্সে ইন্টেলিজেন্স ব্রিফিং-এ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ‘প্রিভেনশন অব ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম’ এবং মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত ‘লার্নিং এক্সচেঞ্জ অন প্রিভেন্টিং অ্যান্ড কাউন্টারিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে বসনিয়া হার্জিগোভিনার বিহাচ পকেট প্লাটুন কমান্ডার এবং ২০১০ সালে সুদানের (দারফুরের) নিয়ালাতে সেক্টর রিজার্ভ কমান্ডিং অফিসার হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, শিক্ষা সফর, ভ্রমন এবং পবিত্র হজ্জব্রত পালন উপলক্ষ্যে বিশ্বের ১৯টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি একজন ভালো বাস্কেটবল, ভলিবল, টেনিস এবং ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও গলফ খেলার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ রয়েছে।
মনোয়ারা বেগম তাঁর সহধর্মিণী। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।