রাকিব হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
বহুল আলোচিত লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলাধীন দহগ্রাম ইউনিয়নবিভিন্ন ভাবে এই ইউনিয়নটির ভিন্নতা আছে।
সর্বোপরি ১৯৮৮ পর থেকে নির্বাচনে একটু আলাদা প্রভাব চলে। নির্বাচন আসলে এখানে অন্য রকম ইমেজ সৃষ্টি হয়।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে ঘিরে দেখা দিয়েছে তার প্রভাব।
দহগ্রাম ইউনিয়ন ঘুরে সাধারণ মানুষের দেওয়া তথ্য মতে এবার জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন দহগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব।
দহগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, দহগ্রাম ইউনিয়ন এবার ভোটের দিক থেকে একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছেন হাবিব, কোন প্রকার বাধা না আসলে হাবিব এবার বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে।
পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক ব্যক্তি দহগ্রাম ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাছিল হোসেন বলেন,আমি আমার জীবনে অনেক নির্বাচন দেখেছি হাবিবের এবারের মত একক আধিপত্য কখনো দেখি নাই,এবার নির্বাচনে হাবিবেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে।
নতুনহাট বাসিন্তা আতোয়ার উদ্দিন বলেন,জীবনে অনেককে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছি, নির্বাচনের পর কেউ তেমন খবর রাখে না, হাবিব সাবেক চেয়ারম্যান হয়েও যেভাবে সর্বদা পাশে ছিলেন এমন ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান করতে পারলে আমরা যারা গরিব মানুষ আছি অবশ্যই উপকার পাবো।
সাধারন জনসাধারণের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতামত জানতে চাওয়ায় দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে অনেক সিনিয়র ব্যক্তিদের সাথে কথা বলতেই, দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহিদুল ইসলাম মাষ্টার বলেন,দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের সাথে দহগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছি এবার জননেত্রী শেখ হাসিনা হাবিব কে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দিলে বিপুল ভোটে সে নির্বাচিত হবে, তবে নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করবো যে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে অবশ্যই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে আমরা ঘরে ফিরতে চাই।
উল্লেখ ১৯৯২ সালের পর দহগ্রাম ছাত্রলীগের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের সাথে জরিয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব দহগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পরে সভাপতি নির্বাচিত হয়,তার নেতৃত্বগুনে নির্বাচিত হয় দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, তার যোগ্য নেতৃত্বের কারনে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা গত ইউপি নির্বাচনে তাকে দলীয় নির্বাচনের সুযোগ করে দেন,দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সামান্য কিছু ভোটে সে গত নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল হোসেনের কাছে পরাজিত হয়। তবে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তার পরাজিত হওয়ার কারন খুঁজে পেয়ে , তাকে আবার সম্মানিত করে দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন,
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, গত নির্বাচন আমি আমার দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কিছু মানুষের হয়তো ক্ষতি হবে জন্য আমার বিরোধিতা করেছে ইনশাআল্লাহ এবার আর তেমন সমস্যা হবে না,গত নির্বাচনের ভুল থেকে শুধরানো চেষ্টা করেছি,আমি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম সর্বদা,তারাও যেভাবে পাশে আছে আল্লাহ রহমতে এবার নৌকা প্রতীক পেলে নির্বাচিত হয়ে সাধারন মানুষের পবিত্র ভোটের আমানত রক্ষা করতে তাদের পাশে আরো বেশি থাকবো।
প্রতীক না পেলে নির্বাচন করবেন কি না এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাবিব বলেন,যারা নিজের উন্নয়নের জন্য,নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, গাড়ি বাড়ি করার জন্য, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নৌকা প্রতীককে হারিয়ে উল্লাসে মেতে উঠে আমি তাদের দলভুক্ত না,জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নিয়ে যাকেই তিনি মনোনীত করবেন তার পক্ষে কাজ করব।যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন যেন জননেত্রী শেখ হাসিনার কাজ করতে পারি, সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারি, আমি মারাগেলে যেন মানুষ কাঁদে,আমি মারা গেলে যেন মানুষ বলে হাবিব ভালো মানুষ ছিলো।
নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে সবাইকে সাথে নিয়ে সর্বচ্চ চেষ্টা করবো।