আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার শেরপুরের গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনীপাড়ার বসবাসকারী তাসলিমার ভাই নূর আলম তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে ও গাড়ীদহ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে
বুধবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন উক্ত এলাকার জনৈক আব্দুল মান্নান স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বিগত ১৪ বছর আগে আমার বোন তাসলিমাকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করে। স্থানীয়দের মদদে সম্পদ লোভী আব্দুল মান্নান ব্যবসার নামে আমার বোনের কাছে দেড় লক্ষাধিক টাকা যৌতুক দাবী করে।
যৌতুক পাওয়ার উদ্দেশ্যে মান্নান ও তার বড়বোন ফুলেরা তাছলিমার বসতবাড়ীতে এসে নির্মম নির্যাতন চালায়। এ বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি ও ২নং গাড়িদহ মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দবীর উদ্দিন ঘটনা তদন্ত না করেই ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট আরজি আদালতে পাঠিয়ে দেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অবিযোগ করেন।
ওসিকে নির্যাতনের বিষয়টি জানালে তিনি পরবর্তীতে কোর্টে মামলার কথা বলেন। এদিকে তাসলিমা হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তাসলিমার সতীন নাছিমা বেগমকে বাদী বানিয়ে নাছিমার মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করা হয় আমার বিরুদ্ধে।
তাছলিমা বেগম বিচারের আশায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ আব্দুল মান্নান ও ফুলেরার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। নির্যাতিত তাছলিমার করা নারী নির্যাতন মামলা ও আমার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলা তদন্ত ভার দেওয়া হয় ২নং গাড়িদহ মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দবীর উদ্দিন এর কাছে।
চেয়ারম্যান ঘটনা স্থলে না এসে এবং নিরপেক্ষ মানুষের কাছে না শুনে, জনৈক আব্দুল মান্নানের সাথে যোগসাজসে ইউনিয়ন পরিষদের বসেই ২টি মামলার ভূয়া মিথ্যা বানোয়াট প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন,
রিতিমতে আদালত অবমাননার শামীল।
সংবাদ সম্মেলনে নূর আলম তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা খালাশের দাবী জানিয়েছেন এবং মিথ্যা মামলার বাদী আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী নাছিমা এবং চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।