ডেস্ক: ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশ করায় সারাবিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। গোটা বিশ্বে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের মাধ্যমে ওদের উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। ফ্রান্সের কুলাঙ্গার প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত মুসলমানদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ফ্রান্সে নবী (সা.) ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে অচিরেই জাতীয় সংসদ ডেকে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করুন। ফ্রান্সের সাথে সকল প্রকার কূটনৈতিক সর্ম্পক ছিন্ন করতে হবে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ফ্রান্সে নবী (সা.) ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্বের বক্তব্যে দলে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। পীর সাহেব চরমোনাই নবী (সা.) ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে আগামী ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং মূর্তি নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে আগামী ১৩ নভেম্বর রাজধানীর দোলাইপাড় চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এছাড়া পীর সাহেব আগামী শুক্রবার সারাদেশের ইমাম খতিবদের প্রতি নবী (সা.) ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে বক্তব্য প্রদান এবং সকল মসজিদ থেকে সাধারণ মুসল্লিদের প্রতিবাদ মিছিল বের করার অনুরোধ জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুস আহমাদ, দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা ফজলে বারি মাসউদ, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, জি এম রুহুল আমিন, মুফতি দেলাওয়ার হোসেন সাকী, মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজী, মাওলানা এ বিএম জাকারিয়া ও মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান।
পীর সাহেব চরমোনাই কতিপয় দাবি পেশ করেন, দাবিগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানাতে হবে,
ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে,
ইসলাম ও রাসূলকে (সা.) অবমাননার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে প্রকাশ্যে বিশ্ব মুসলিমের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, অবিলম্বে ওআইসিতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে, বাংলাদেশে ইসলাম ও মহানবীর (স.) বিরুদ্ধে কটুক্তি বন্ধে কঠোর শাস্তির আইন পাশ করতে হবে, সারাবিশ্বের মুসলমানদের ইসলামবিদ্বেষী ফ্রান্সের পণ্য বর্জন করতে হবে, বিশ্ব মুসলিম নেতা এবং সাধারণ মুসলমানদেরকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখতে হবে, যেসমস্ত মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান ইতোমধ্যে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সাহসী বক্তব্য ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে মুসলিম উম্মাহ’র কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। ফ্রান্স সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বিশ্বের মুসলমানদের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব। ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সা.) কে অবমাননায় বিশ^মুসলিম চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একজন কুলাঙ্গার শিক্ষা সালাম ও আল্লাহ হাফেজের বিরুদ্ধে উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মুসলমানদের হ্নদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। তারা এ কুলাঙ্গার শিক্ষককে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানান। পরে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও এর লক্ষ্যে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শান্তিনগর বাজারের সামনে পৌঁছলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। মিছিলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সেখানে পুলিশ ও মিছিলকারীদের মাঝে কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কি হয়। (ইনকিলাব)