রাকিব হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
ভারতের ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার বাসিন্দা প্রবীর মন্ডল ( ৪০) নামে এক ভারতীয় নাগরিক হ্নদরোগে আক্রান্ত হয়ে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে মারা গেছেন। গতকাল সোমবার পাটগ্রাম পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আজিবুল ইসলামের বাড়িতে বিশ্রাম নেয়ার সময় অসুস্থ হলে তাকে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, গত পরশু রোববার সন্ধ্যায় প্রবীর মন্ডল ও তার ফেসবুক পরিচিত গার্ল ফ্রেন্ড হামিদা আক্তার হিয়ন( ৩০) ঢাকার গাবতলি বাস স্টান্ড থেকে কোচে করে পাটগ্রাম আসেন। সোমবার সকালে তারা পাটগ্রাম পৌর বাসটার্মিনালে নামেন। এ সময় দহগ্রাম -আঙ্গারপোতা এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের সরকার পাড়ার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম (২৫) তাদের দুইজনকে বাসটার্মিনাল থেকে রিসিপ করে মুন্সিরহাট ঘোরাফেরা করেন।এরপর তার বোন জামাই আজিবুলের বাড়িতে মেহমান হিসেবে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে খাওয়া দাওয়া শেষে বিশ্রাম নেয়ার সময় প্রবীর মন্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় বি-বাড়িয়া জেলার বাসিন্দা হামিদা আক্তার হিয়ন প্রবীর মন্ডলের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে চিল্লাতে থাকেন এবং বাড়ির লোকজন দ্রুত তাকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা:সাইফুল ইসলাম রোগী দেখে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। মৃত প্রবীর মন্ডলের বাড়ি ভারতের বরানগর থানার চব্বিশ পরগনা জেলায়। তিনি ২০১৮ সালে ৬০ দিনের ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। বিগত ২ বছরেরেও বেশি সময় ধরে করোনাকালে ঢাকায় তার বান্ধবীর সাথে অবস্থান করেন।
তার বান্ধবী হামিদা জানায়, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রবীরের সাথে তার পরিচয় হয়।প্রবীর ভারতে ফলের ব্যবসা করত। তার সাথে সম্পর্ক কী জানতে চাইলে হামিদা জানায়,তার সাথে আমার ভাই বোনের সম্পর্ক।
এদিকে, বহুল আলোচিত তিনবিঘা করিডোর হয়ে দহগ্রাম সীমান্ত পথে মেয়াদউত্তীর্ণ পাসপোর্ট ভিসায় অবৈধভাবে লোক পারাপার রুট হিসেবে পরিচিত। এ রুটে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় ভাষায় গলাকাটা পাসপোর্টে মানুষ পারাপার নতুন কোন বিষয় নয়।মৃত প্রবীরের ভিসার মেয়াদ শেষ এ কারণে রাতের আঁধারে দহগ্রাম দিয়ে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল কি’না তা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুখ জানান, মঙ্গলবার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এস আই মিজান জানান, একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।ফেসবুকে পরিচিত প্রবীরের বান্ধবীর পরিবারকে জানানো হয়েছে। আটককৃত দালাল মনিরুল ও বান্ধবী হামিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।