এইচ এম বাবুল জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রামঃ-
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রতিবেশি চাচা কর্তৃক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আজ সোমবার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ মার্চ উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের রোশন শিমুলবাড়ী গ্রামে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত চাচা পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায় , দিনমজুরী কাজ করায় ওই ছাত্রীর বাবা-মা প্রায়ই বাড়ির বাহিরে থাকতেন। মেয়েটি বাড়ীতে একাকী থাকার সুযোগে ওই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে প্রতিবেশী চাচা শফিকুল ইসলাম (২৮) প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিত। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শফিকুল মেয়েটিকে নানা রকম প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখাত। প্রায় দেড় মাস আগে মেয়েটির মা বাপের বাড়ি গেলে এবং বাবা কাজের জন্য বাইরে গেলে শফিকুল দিনের বেলায় বাড়ীতে ঢুকে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মেয়েটি ভয়ে কাউকে কিছু না বলায় শফিকুল আবারো তাকে ধর্ষণের সুযোগ খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৩ই মার্চ মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করে । অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে পালিয়ে যায় শফিকুল। কিন্তু ঘটনা ধামাচাপার দেয়ার জন্য মেয়েটির পরিবারকে ভয় ভীতি ও টাকার লোভ দেখায়।
এদিকে প্রায় ছয়দিন ধরে বিচারের জন্য মাতব্বরদের পিছনে ঘুরে বিচার না পেয়ে অবশেষে গতকাল রবিবার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফজলুর রহমান থানায় মামলা রুজু হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।