জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রামঃ-
০৩.০৯.২০২৩ রোববার
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে এসে অচেতন জাতীয় ওষুধ চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানোর পর তিন যুবক মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবককেই গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের খরখরিয়া জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকায়।
আটকের বিষয়টি রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. হারেসুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইলিয়াস আলীর ছেলে নবিদুল মন্ডল (৩০), বিজু মিয়ার ছেলে ফেরদৌস (২০) এরা দুজন রমনা মডেল ইউনিয়নের খরখরিয়া নয়াগ্রামের বাসিন্দা এবং অপরজন মুদাফৎথানা বেলেরভিটা গ্রামের মৃত আন্তাজ আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া (২৭)।
অভিযোগ সূত্র জানায়, ঘটনার দিন শুক্রবার বিকেলে ওই কিশোরীকে নবিদুল মন্ডল ও ফিরোজ মিয়া শরিফেরহাট হাই স্কুলের সামন থেকে মোটরসাইকেল যোগে থানাহাট ইউনিয়নের বাহারের ঘাট এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যান। এরপর সন্ধ্যার দিকে নবিদুল মন্ডল ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এদিকে ওই বাড়িতে ফেরদৌস নামে অপর এক যুবক আগে থেকেই ওত পেতে ছিলেন।
পরে ওই কিশোরীকে চায়ের সাথে অচেতন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হয়। কয়েকঘন্টা পর রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত ওই তিন যুবক মিলে ভুক্তভুগী কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ঘুম ভেঙে যায়। আপত্তিকর অবস্থায় নিজেকে দেখে ওই কিশোরী কান্নাকাটি শুরু করলে ওই তিন যুবক সটকে পড়ে।
এরপর শনিবার ভোরের দিকে লোকজন নামাজে যাওয়ার পথে ওই কিশোরীর কান্নার আওয়াজ শুনে এগিয়ে আসেন। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রাই দুই যুবকে আটকে রাখে। পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে তার মাকে খবর দেন।
ওসি হারেসুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে স্থানীয়রা খবর দিলে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে অভিযুক্ত দুই যুবককে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এরপর দ্রুত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আর পলাতক ফিরোজ মিয়াকে ওই দিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীদের শনিবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।