মো. নাঈম ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ছবি দেখে হয়তো কেউ ভাবছেন শার্ট প্যান্ট- পরে মুঠোফোন হাতে পানির মধ্যে অর্ধেক ডুবে থাকা লোকটি পানিতে পড়ে গিয়েছে পা দিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে রাস্তা খুজে উপরে ওঠার চেষ্টা করছে বা পানির মধ্যে তার কিছু পড়ে গিয়েছে তা খুজছে,কিন্তু দুৃটোর একটাও না। এ এক কর্তব্যপরায়ন মানবিক ইউওনওর কাজের প্রতিচ্ছবি।
এতক্ষন বলছিলাম ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদারের কথা। গত ২৭ মে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিশখালী নদীর পানি বিপদ সীমার ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চল সমূহ পানিতে তলিয়ে যায়। ভেঙে যায় দুটি ভেড়ি বাঁধ। তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট সহ নিম্ন অঞ্চল। সব বাধা উপেক্ষা করে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন ২ প্রকল্প ঘর তৈরীর কার্যক্রম পরিদর্শন করতে ছুটে যান ইউওনও।
আশ্রয় প্রকল্পের ঘরগুলো আংশিক পানির ভিতর ঢুবে যায়, যা কোমর সমান পানি প্রায় সেই পানির ভিতর নেমে প্রতিটি ঘরের অবস্থান পা দিয়ে হাত দিয়ে খুটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এরকম একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে।
যা দেখে ইউওনওর প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ছে পুরো জেলা উপজেলা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ ছাড়া তিনি উপজেলায় সকলের কাছে মানবিক ইউওনও হিসেবে পরিচিতি লাভ করছেন।
এ বিষয় কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, সব সময় নিজের দায়িত্বের জায়গায় থেকেই ভালো কাজ করার চেষ্টা করি। অসহায় মানুষদের মধ্যে সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলো পৌঁছে দিতে চেষ্টা করি। বিশেষ করে যে ছবিটি আমার ভাইরাল হয়েছে এটি একটা আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ তদারকির সময় যা গত ২৭ ই মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্নিমার জোয়ারের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পায় যা আশ্রায়ন প্রকল্পের কিছু অংশ তলিয়ে যায় তা তদারকি করবার সময়ের ছবি। দায়িত্ব পালনে যে কোন প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নিতে হয়। এবং সকলে আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন আমি যেন আমার কর্মনিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারি।