শেখ সফিকুল ইসলাম সফিক বানিয়াচং হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। এ গ্রামের রয়েছে সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পট। এরমধ্যে দেশের ২য় বৃহত্তম সোয়াম ফরেষ্ট (জলাবন) লক্ষীবাওর, বিথঙ্গলের আখড়া ও কমলা রানীর সাগর দিঘীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আলাদা প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৫ টায় স্থানীয় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার সভাপতিত্বে, মতবিনিময় সভায় হবিগঞ্জের নাবগত জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান কথাগুলো বলেন।
ইশরাত জাহান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাঁতিঘর। তিনি কখনও কাউকে আলাদা করতেন না। সকলকে সাথে নিয়ে তিনি কাজ করে দেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন । তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছি। তাই আমরা যার যার অবস্থান থেকে দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, বানিয়াচংয়ের চারপাশ ঘেরা গড়ের খাল দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করে পুনঃখনন করা হবে। গ্রামটির চার পাশে গড়ের খাল ঘেষে একটি নয়নাভিরাম রাস্তা নির্মাণ করলে পুরো গ্রামটিই একটি পর্যটন স্পর্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। তাই গড়ের খাল উদ্ধারে সকলের সহেযাগিতা করা দরকার । এছাড়াও বলেন হবিগঞ্জে শিক্ষার হার কম শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে হবে।
সভা শেষে উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ৩ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের জন্য ৩ টি টং দোকান হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক। এসময় তিনি বলেন, ভিক্ষুকেরা কখনও সম্মান পায়না। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্ঠায় আমাদের দেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইফফাত আরা জামান উর্মি, থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, কৃষি অফিসার এনামুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক, মাওলানা হাবিবুর রহমনা, চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাশ, বিপুল ভূষণ রায়, প্রেসক্লাব একাংশের সভাপতি এস এম খোকন, প্রেসক্লাব একাংশের সভাপতি মোশাহেদ মিয়া প্রমুখ।