মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম,খুলনা সদর প্রতিনিধিঃ
২০ বছর ধরে দূরপাল্লার পরিবহন চালাচ্ছেন আল মামুন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাত্রী নিয়ে গেছেন কলকাতায়। টি২০ বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের বাস চালনাসহ অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে অনেক কিছু। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনেই প্রথম যাত্রীবাহী বাস চালানোর স্বপ্ন দেখছেন পাঁচ বছর ধরে। সেই ইচ্ছা পূরণ করতে এখন ছুটছেন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের দ্বারে দ্বারে।
আল মামুনের বাড়ি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামে। ১৯৯৯ সালে চালকের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন আল মামুন। বাস চালনার পাশাপাশি শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। বর্তমানে খুলনা জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এর আগে জেলা শ্রমিক লীগের সহপ্রচার সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের মহানগর ও জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রচার চালানো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেবক’-এর সক্রিয় সদস্য তিনি। গ্রামের বেকার যুবকদের জন্য একটি গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে তাঁর।
আল মামুন বলেন, বিভিন্ন সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে সংসদ সদস্য, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ, অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। সবাইকে আমার ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কেউ তেমন সাড়া দেননি। আগামী সপ্তাহে আবেদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে যাব। স্বপ্নপূরণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আল মামুন বলেন, বর্তমানে খুলনা-ঢাকাগামী মাওয়া রুটের ফাল্গুনী পরিবহনে চাকরি করছি। ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে মাওয়া ঘাটে তাঁদের নামিয়ে দিতে হয়। তাঁরা লঞ্চ বা ফেরিতে নদী পার হয়ে ওপারে গাড়িতে ওঠেন। দেখতাম মাওয়া ঘাটে নামার পর ফেরি ও লঞ্চে উঠতে নারী ও শিশুদের অসম্ভব কষ্ট হয়। যানজট অথবা আবহাওয়া খারাপ হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় যাত্রীদের। ২০১৭ সালে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানোর দিন থেকেই স্বপ্ন দেখেছি এই সেতুর ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে যাত্রী নিয়ে বাড়ি যাব। কোনো কষ্ট ছাড়াই সাধারণ মানুষকে নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দেব।
Leave a Reply