নড়াইল প্রতিনিধি:
একের পর এক চালাচ্ছেন গোপনে নিয়োগ বাণিজ্য,যোগসাজসে স্কুলের গাছ ও মাটি বিক্রির অভিযোগসহ নানা দূনীতির রির্পোট পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন তিনি। গোপন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই চলছে নিয়োগের তোড়জোড়।
কয়েকদিন আগে গোপনে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগের পর আবার নতুন করে চতুর্থ শ্রেণি পদে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও জানে না শিক্ষক,কর্মচারি ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অনেক সদস্যই। অনুসন্ধানমূলক নিউজটি প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। এর পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি,টাকা নিয়ে বুকিং করা প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হন্যে হয়ে পড়েছেন।পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র পাল, অফিস সহকারি গোবিন্দ কুমার বিশ্বাসকে নিয়ে হাজির হন এ প্রতিবেদকের অফিসে, এসে বলেন তুমি আমার ভাডি এ যাত্রায় আমাকে বাঁচাও। কথাবার্তার এক পর্যায়ে তিনি বলেন,এই পদে চাকরি দেওয়ার জন্য ৭ লক্ষ টাকা কন্টাক্ট করেছি, অগ্রিম ২ লক্ষ টাকাও নিয়ে খরচ করে ফেলেছি।আমি আর অল্প কয়েকদিন পরে অবসরে যাব।শেষ বয়সে এসে আমাকে বিপদে ফেল না। ভাডি তুমি কি চাও বলো এই বলে এই প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
তাইতো চায়ের দোকান থেকে নড়াইল শহরের সর্বত্র চলছে একই আলোচনা, নিমাই চন্দ্র পালের খুটির জোর কোথায়?
প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র পালের কাছে গোপন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগের তোড়জোরের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,আবেদন জমা পড়ছে। এখন শীঘ্রই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।এর আগে এক সময় বলেন আমার স্কুলে নিয়োগ হয়ে গেছে।আমার এখানে যোগাযোগ করে কোন লাভ নেই। আবার আরেক সময় বলেন নিয়োগ এখনো হয়নি। প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,পত্রিকায়,ওয়েবসাইট,ফেসবুক, নোটিশ বোর্ডসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হয়। কিন্ত আপনার বিজ্ঞপ্তি কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি,এমনকি শিক্ষক-কর্মচারি ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অনেক সদস্যই জানে না। এর কারন কি? তখন প্রধান শিক্ষক বলেন ,আমি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পত্রিকা সংগ্রহ করেছি আরকি।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এরকম কিছু ঘটলে তা অবশ্যই অন্যায় ও অনৈতিক