নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোস্তফা কামাল মোস্তকে আক্রোশমুলক ভাবে চাঁদাবাজি মামলার আসামী করার অভিযোগ উঠেছে।
মোস্তফা কামাল মোস্ত’র পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও একটি কুচক্রী মহল ওই নির্বাচনে তাকে পরাস্থ করতে ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে সুকৌশলে চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়েছেন। নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে মোস্ত’র একটি গবাদি পশুর খামার রয়েছে। ওই খামারের অদুরে রামপ্রসাদের (৫৫) বাড়ি। প্রতিবেশি একটি কিশোরী মেয়েকে যৌন হয়রানী করেছেন এমন অভিযোগে এলাকার কতিপয় যুবক গত ৭ সেপ্টেম্বর রামপ্রসাদ কে মোস্ত’র খামারে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ করা সহ তার সাথে দূর্ব্যবহার করেন। এমনকি তার নিকট চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায় করেন বলে ভুক্তভোগি রামপ্রসাদের অভিযোগ। যার প্রেক্ষিতে রামপ্রসাদ গত ১৩ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় মোস্তফা কামাল মোস্তকে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে রামপ্রসাদের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। তাকে জোরপূর্বক ব্যাংকে নিয়ে ১ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। এমনকি তার নিকট হতে ফাঁকা চেকের পাতা ও স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। মোস্তফা কামাল মোস্ত’র পরিবারের দাবি,যদি কোন চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেও থাকে,সেই ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। মোস্ত সারাক্ষন নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক লোকজন নানা প্রয়োজনে তার নিকট গিয়ে থাকে। তিনি সাধারন মানুষদের যথাসাধ্য সেবা দিয়ে থাকেন। নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকাকালে সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদ প্রার্থী। তাকে ওই নির্বাচনে অযোগ্য প্রমান করতে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়েছে। এদিকে চানপুর গ্রামের গৃহবধু মিনা সরদার সহ অনেকে জানান মোস্ত সাহেব মাঝে মাঝে তার খামারে আসেন। তিনি কোন দিন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। উদ্দেশ্যমুলক ভাবে তার নামে চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হয়েছে। মোস্ত’র পরিবার ও সমর্থকেরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এ মামলা হতে তাকে অব্যহতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।