ফাতেমা খানম মৌ নড়াইলঃ
নড়াইল সদর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ভওয়াখালী গ্রামে একাধিক মাদক মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী শ্যামল গোলদার(৪০) পিতা : মৃত নিশে গোলদার আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয়। গাঁজার ব্যবসা করছে প্রকাশ্য দিবালোকে। এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, ভওয়াখালী ফিশারি অফিসের পুকুরপার, বৌ বাজার, ভাদুলীডাঙ্গা,নড়াইল নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি করছেন এই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী,মাদক সম্রাট শ্যামল গোলদার।তার আছে মাদক বিক্রির বিশাল সিন্ডিকেট।পেশায় ট্রাক চালক এ মাদক বিক্রেতা মাদক নিয়ে আসেন বেনাপোল ও কুষ্টিয়া থেকে।আর তার মাদক বিক্রিতে সহায়তা করেন তার আপন বড় বোন সহ এলাকার চিহ্নিত কিছু নেশা খোর বিপথগামী যুবক। সারাদিন নড়াইল নতুন বাসটার্মিনাল এলাকায় বসে থেকে মোবাইলের মাধ্যমে তার ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করেন শীর্ষ মাদক বিক্রেতা শ্যামল।আর মাদক পরিবহনে ব্যবহার করেন মহিলা ও উঠতি বয়সের তরুন ছেলেদের। সন্ধার পর গাঁজার আসর বসে ভওয়াখালী বৌ বাজার সংলগ্ন ফিশারির পাশে শ্যামলের বাড়িতে।বাড়িতে আসর বসাতে সমস্যা হলে দলবল নিয়ে চলে জান ফিশারি অফিসের পুকুরপাড়।
গভীররাত পর্যন্ত চলে গাঁজা, ইয়াবা সেবন। গভীর রাত পর্যন্ত মাদকের আসর চললেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা বলে জানান ভূক্তভোগী এলাকাবাসীরা।ফিশারির ওয়াল ঘেঁষে বাড়ি তৈরি করছেন নড়াইল জজ কোর্টের চাকুরীজীবী সুভাষ দাস।তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, এখানে বাড়ি করতে গিয়ে একেরপর এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে চুরি হয়েছে আমার টিউবয়েল, তারপর বৈদ্যুতিক মিটার, আর এখন চুরি হচ্ছে ছাদের পিলারের জন্য রাখা রড। যা চোরেরা রাতের আধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।কাউকে কিছু বলার উপায় নেই। বললে বিপদ বাড়ে।আজ সকালে ১৬/১২/২০২১ ইং তারিখে হাজির হয় শ্যামল সহ নাম না জানা কয়েকজন।তারা আমার বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর বসে বাসীতে গাজা সেবন করছিল,আর নিচে আমার ছেলে ও মিস্ত্রিরা কাজ করছিল, একপর্যায়ে আমার ছেলের কাছে আমার মোবাইল নম্বর চায়,আমার ছেলে নম্বর চাওয়ার কারন জানতে চাইলে,আমার ছেলেকে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালীদেয় এবং বলে, আমরা ১৬ ই ডিসেম্বর উপলক্ষে পিকনিক করবো, তোর বাপকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে বল,না দিলে তোদের কাজ বন্ধ,ভওয়াখালী এলাকায় বাড়ি করবি আর টাকা দিবিনা, তা হবে না।আমার এস পি, ডিসি করার সময় নাই।যারে ডাকবি ডাক। কিছুদিন পূর্বে শ্যামল গোলদারের প্রায় এক কেজি গাঁজা নিয়ে নড়াইল ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তার আপন বড় বোন শান্তনা গোলদার ।তখন অদৃশ্য কারনে বেঁচে যান শ্যামল।তার এই মাদক ব্যবসার কারনে এলাকার যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। তার সাথে বাড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ ইভটিজিং এর ঘটনা। বর্তমানে শ্যামলের মাদকের ব্যবসা বাধাহীন ভাবে চলার কারনে এলাকাবাসীর মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই বলছেন প্রশাসন নিরব কেন? যেখানে মাদক নির্মূলে সোচ্চার নড়াইলের পুলিশ সুপার, সেখানে কিভাবে শ্যামলের মত মাদক ব্যবসায়ী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই শ্যামলের মত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে অনতি বিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।