মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু নড়াইলঃ
নড়াইলে সদর উপজেলার শ্রীজা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের গ্রুপের ভুল ফলাফল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী এক প্রসূতি মায়ের রক্ত দেওয়ার জন্য শ্রীজা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে যান। রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা করলে মানিক চন্দ্র বিশ্বাস সাক্ষরিত একটি রিপোর্ট প্রতিবেদন দেওয়া হয়। যে রিপোর্টে দেখা যায় রক্তের গ্রুপ ”ও পজেটিভ “। পরবর্তীতে ওই রোগী রক্ত দিতে হাসপাতালে গেলে পুনরায় পরিক্ষা করে হাসপাতাল থেকে রক্তের গ্রুপ ” বি পজেটিভ ” হয়। তখন রোগীর স্বামী দিপংকর বিশ্বাস রিপোর্ট দেখে সিন্ধান্ত হীনতায় পড়ে যায়। কোনটা সঠিক যাচাই করতে সাথে সাথে নড়াইল সদর হাসপাতালের চত্বরে ভিক্টোরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের পরিক্ষা করান। সেখান থেকে রিপোর্ট আসে রক্তের গ্রুপ” বি পজেটিভ ” সদর হাসপাতাল ও ভিক্টোরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রক্তের গ্রুপের পরিক্ষা একই হয়। অন্য দিকে শ্রীজা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রক্তের গ্রুপের পরিক্ষা রিপোর্ট ভিন্ন। লাবনী বাগচির স্বামী দিপংকর বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে শ্রীজা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসা ডাক্তারকে দেখাতাম। ডাক্তার বলল আপনার স্ত্রীর রক্ত শুন্যতা আছে। তাকে রক্ত দিতে হবে। তখন ডাক্তারের পরামর্শে শ্রীজা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকেই আমি রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা করি। সেখান থেকে রিপোর্ট দেয় রক্তের গ্রুপ “ও পজেটিভ” রক্ত দিতে হাসপাতালে আমার স্ত্রীকে নিয়ে গেলে হাসপাতালের ডাক্তার পুনরায় রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা করতে বলে। হাসপাতালে পরিক্ষা করালে রিপোর্ট আসে ভিন্ন। আমি দ্বিধাদন্ধে ভুগতে থাকি তখন ভিক্টোরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিক্ষা করি। হাসপাতাল ও ভিক্টোরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট মিল হয়। আমি ভূল রিপোর্ট প্রদানকারী শ্রীজা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাই।
স্থানীয় সচেতন মহল শ্রীজা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
শ্রীজা ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক মানিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ব্যস্ততার জন্য ভূল হতে পারে। আমি বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে মিমাংসা করে ফেলবো।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন নাসিমা আক্তার বলেন, ভূল রিপোর্ট প্রদান করলে ডায়াবেটিস সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে।