মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টুঃ নড়াইলের শিংগা শৈলপুর ইউনিয়নের নলদীরচর গ্রামের মৃতঃ নিয়ামত খাঁনের ছেলে বিলু খাঁন (৫০) কে চেতনানাশক ঔষুধ ব্যবহার করে অজ্ঞান করে ৯৭ হাজার ২০০ টাকা ছিনতাই করেছে দূর্বৃত্তরা।
বিলু খাঁনের ভাই জামশেদ খান জানান বেলা ৩ টার দিকে আমার মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে জানানো হয় আপনার ভাইকে অচেতন অবস্থায় গড়ের ঘাট এলাকায় বাস থেকে নামিয়ে রেখে গেছে। আমি ভাইয়ের সাথে কথা বলতে চাইলে ভাইকে ফোন দেয় কিন্তুু ভাইয়ের কথা যেন কেমন লাগছিল। তখন ওই এলাকায় আমাদের পরিচিত লোকদের পাঠাই আমার ভাই কিনা সঠিক করে জানার জন্য। তারা যেয়ে আমাদের জানান তোমার ভাই শুধু ইশারা করে দেখাচ্ছে কথা পরিস্কার করে বলতে পারছেনা। তখন আমরা দ্রুত যেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
বিলু খাঁনের ভাই নিলু খাঁন জানান আমার ভাই ৯৭ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে মাইজপাড়া হাট থেকে গরু ক্রয়ের জন্য বাড়ি থেকে বেলা ১টার দিকে রওনা হয়ে নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনাল থেকে লোকাল বাসে চড়ে যায়। বাসের ভিতর থেকে তাকে নাকে চেতনানাশক ঔষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে গরু ক্রয়ের টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন এ চক্রের সাথে বাসের ড্রাইভার সুপার ভাইজার ও হেলপার জড়িত থাকতে পারে। তানা হলে ভাই নামবে মাইজপাড়া গরুর হাটে অথচ তাকে
নামিয়েছে আরো অনেক দুরে।
বিলুু খাঁনকে মাইজপাড়া বাসষ্টান্ডে না নামিয়ে দুরে ফাকা স্থানে নামানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষিরা-জ-০৪-০০১৪ নং বাসের ড্রাইভার মাহাবুর জানান,আমি গাড়ির ড্রাইভার আমাকে সুপারভাইজার রেজোয়ান ও হেলপার বলেছিল সে মনে হয় ঘুমাচ্ছিল তাই এখানেই নামান।
বিলু খাঁনের শারিরিক অবস্থার বিষয়ে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন,তাকে চেতনানাশক ঔষুধ খাওয়ানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা
দেওয়া হয়েছে। কয়েক ঘন্টা পরে হয়তো জ্ঞান ফিরে পাবে। তানাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিফার্ড খুলনায় করবো।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন,বিষয়টা আপনার কাছ থেকে শুনলাম, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।