মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু নড়াইলঃ পরিবার পরিকল্পনা সেবা বঞ্চিত ৬ শতাধিক পরিবার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে বেজায় ক্ষেপেছে পরিবার কল্যান সহকারী স্বপ্না বিশ্বাস। তার নিজের অনিয়ম দূর্নীতি সেচ্ছাচারিতার কর্মকান্ডে ডাকতে বিভিন্ন মহলে দেন- দরবার করে বেড়াচ্ছে। কতিপয় কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্র-ছায়ায় থেকে এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নিজেকে এক প্রভাবশালী নেতার আত্বীয় দাবি করেন তিনি। সম্প্রতি সময়ে তার দায়িত্বে অবহেলার সংবাদ প্রকাশের পর থেকে তিনি বেজায় ক্ষেপেছেন। তার উর্ধতন কর্মকর্তাকে মেনেজ করতে সাইড ব্যাগে টাকা নিয়ে অফিসের দুয়ারে পৌঁছে গেছে। অফিসারদের মেনেজ করতে খুবই পারদর্শী এই স্বপ্না বিশ্বাস।
যানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৬ শতাধিক পরিবার। দীর্ঘ ৯ মাস যাবত সেবা বঞ্চিত হচ্ছে গর্ভবতী মায়েরা। যানা গেছে পরিবার কল্যান সহকারী স্বপ্না বিশ্বাসের খামখেয়ালীপনা, দূর্নীতি, অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার কারনে দীর্ঘ দিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর এই মহতি উদ্যোগ ভেস্তে গেছে।
তার দায়িত্বে অবহেলার কারনে, জন্ম বিরতিকরন ইনজেকশন,গর্ভধারণ ও পুষ্টি বিষয়ে কাউন্সিল, পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক পরামর্শ , বাল্য বিবাহ সচেতন বিষয়ক কর্মশালা,স্থায়ী জন্ম বিরতি করন সেবা সহ সব ধরনের পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী । বিষয়টি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার মল্লিক কে একাধিক বার জানালে ও কোন রমক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেখহাটি ইউনিয়নের ২/ খ ইউনিটের পরিবার কল্যান সহকারী সপ্না রানী সিকদার এবং একই ইউনিয়নের ২ /ক ইউনিটের পরিবার কল্যান সহকারী স্বপ্না বিশ্বাস দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে । কিন্তু স্বপ্না বিশ্বাস তার নিজের ইউনিটিতে কাজ না করে স্বপ্না রানী সিকদারের দায়িত্বরত ইউনিটিতে জোরপূর্বক কাজ করছেন। দীর্ঘ দিন যাবত দুই জনই একই এলাকায় কাজ করছে। যার কারনে পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের ২/ক ইউনিটের পরিবারগুলো। ২ / ক ইউনিটি এলাকা নদীর কুল বর্তী হওয়ার কারন এবং কাঁদা রাস্তা হওয়ায় ওই এলাকায় সাস্থ্য সেবা দিতে রাজি না স্বপ্না বিশ্বাস । সুচতুর এই সপ্না বিশ্বাস পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের চিঠিকে বৃদ্ধা আঙ্কুলি দেখিয়ে ২ /খ ইউনিটি যেখানে স্বপ্না সিকদার দায়িত্ব পালন করছে সেই ইউনিটিতে দায়িত্ব পালন করছে। এ বিষয়ে উপজেলা, জেলা কার্যালয় থেকে একাধিক বার স্বপ্না বিশ্বাসের দায়িত্বরত এলাকায় কাজ করার জন্য চিঠি দিলে ও কোন রকম ভাবে মান হচ্ছে না সরকারি এই নির্দেশনা। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে খামখেয়ালী ভাবে অন্য এরিয়ায় কাজ করছেন তিনি। যার কারনে তার দায়িত্ব রত এলাকার ৬ শতাধিক পরিবার সেবা বঞ্চিত হচ্ছে।
সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে জোর পূর্বক অন্য ইউনিটিতে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বপ্বা বিশ্বাস বলেন, আমি ও সব সরকারি চিঠি মানি না। আমি ৯ বছর ধরে ২/ খ ইউনিটে কাজ করছি। তার দায়িত্বরত এলাকায় মানুষ সেবা বঞ্চিত হওয়ার বিষয় বলেন, কারা সেবা পেল কি না পেল এটা আমার দেখার বিষয় না।
শেখহাটি ইউনিয়ন এফ,পি আই বিশ্বজিৎ দাস বলেন, স্বপ্না বিশ্বাস দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্বে অবহেলা করছে। আমার কথা শোনে না। সরকারি চিঠি ও মানে না। রাজনৈতিক নেতা দিয়ে ভয় দেখায়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার মল্লিক বলেন, স্বপ্না বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্বপ্না সিকদারের এরিয়ায় নিয়মবহিভূত ভাবে কাজ করছে। তার নিজ ইউনিটিতে কাজ করার জন্য চিঠি দেওয়া হলে ও তিনি কাজ করে না। করোনা মহামারি চলে গেলে এ বিষয়টা সমাধান করা হবে।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ( এডি) তুহিন কান্তি ঘোস মুঠোফোনে বলেন, আমি নতুন এসেছি। এ বিষয়ে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।