নড়াইল প্রতিনিধি : পরকিয়ার টানে পুলিশ প্রেমিককে নিয়ে সংসার বাঁধলেন দুই সন্তানের জননী কামরুন নাহার পলি নামে এক গৃহবধু। ভুক্তভোগী’ স্বামী নড়াইলের তুলারামপুর ইউনিয়নের পেরুলী গ্রামের মো:আমির হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, ২০০২ সালে পেরুলী গ্রামের মৃত আফজাল মুন্সীর মেয়ে কামরুন নাহার পলির সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় তাদের। ভুক্তভোগী’ স্বামী নড়াইলের তুলারামপুর ইউনিয়নের পেরুলী গ্রামের মো:আমির হোসেন জানান কামরুন নাহার পলি কে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করি।, আমার স্ত্রীর গর্ভে আমার দুটি সন্তান জন্ম গ্রহন করে। আমি ২০১৪ সালে আর. এফ. এল কোম্পানীতে ড্রাইভার পদে ফরিদপুরের টেকেরহাট ডিপোতে যোগদান করি।সেখানে কর্মরত থাকা কালীন আমার স্ত্রী আমাকে বলে আমি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কাজ শিখব,আমাকে নড়াইলে বাসা নিয়ে দাও। আমি তার কথায় রাজি হয়ে তাকে নড়াইলে বাসা ভাড়া করে দেই। সে তুলারামপুর ইউনিয়নের সাগর দাসের মালিকানাধীন স্বাগত ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কাজ শুরু করে। সব কিছুই ঠিক ঠাক চলছিল।এর মধ্যে স্বাগত ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে আমার স্ত্রীর সহকর্মী রানী ও বিথীকা বিশ্বাস আমাকে ফোন করে জানায় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক সাগর দাসের মদদে আমার স্ত্রীর ওলিয়ার পুলিশের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক করছে। আমি আমার স্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে সব কিছু অস্বীকার করে। তারপর ৩০/০৯/২০২০ তারিখে আমার স্ত্রী নোটারী পাবলীকের কার্যালয়,নড়াইল থেকে আমাকে তালাক দেয়। আমি তালাক করার কারন জানতে চাইলে আমাকে সে পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দেয় তোমাকে আমার ভালো লাগেনা তাই আমি তোমাকে তালাক দিয়েছি।আমি ওলিয়ার পুলিশ কে বিয়ে করেছি তোমার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নাই বলে ফোন কেটে দেন।আমি বিষয় টি ওলিয়ার পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালী গালাজ করেন এবং একপর্যায় আমার অবস্থান জানতে চান ,আমি বরিশালে আছি বললে তিনি আমাকে বরিশালে কর্মরত তার ভাইপো আজাদ কে দিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখান।আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে ১৭/০২/২০২১ ইং নড়াইল আদালতে একটি মিথ্যা যৌতুকের মামলা দায়ের করেছে ,জাহার নং জি আর ২৬/২১ ।বর্তমানে আমি সেই মামলায় জামিনে আছি।
স্বামীর অভিযোগ ,আঠার বছর সংসার করার পর তার স্ত্রী তার কাছ থেকে নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার ,১০ শতক জমি হাতিয়ে নিয়ে তাকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তালাক পাঠিয়েছেন।ষড়যন্ত্রকারী’ স্ত্রীর হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে ও পরকিয়া প্রেমিকের চক্রান্ত থেকে জীবন বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্বামী।
এব্যপারে পুলিশ কনেষ্টবল ওলিয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পলিকে আমি বিয়ে করেছি,ও যা করতে পারে করতে বলেন।