নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় তিন মহিলাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো জাহানারা চৌধুরী, সেলিনা ও সোহানা ।
কুমড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ সরদারের মেয়ে সোহেলী বলেন, বেলা ১১টার দিকে চড় মাউলি গ্রামের আমার চাচাতো ভাই বুলু সরদারকে বাড়িতে আটকিয়ে মারধরের খবর পেয়ে কুমড়ি থেকে আমার ভাইয়েরা ঠেকাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং মারধর করে ও সনি সরদারকে গুলি করে। তখন পুলিশের সাথে আমার ভাইদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশের পিস্তল পড়ে যায় এবং আমরা সেটা ফেরত দেই। তারপরে ও পুলিশ নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন না করে আমাদের লোকেদের হামলা চালায় মারধর করে বাড়ি ভাংচুর করে। এতে আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ সরদারের নাক ফেটে রক্তাক্ত হয়।
আসাদ সরদার বলেন, আমি ও আমার ভাই ইউসুফ সরদার মুক্তিযোদ্ধা। পুরুষ পুলিশেরা আমার ভাবীকে ও ভাইয়ের বেটা পলাশের স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করে। পুলিশ ওসমান সরদারের কাছে থেকে টাকা খেয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পারিবারের উপর এমন অত্যাচার করছে।
লোহাগড়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমড়ি গ্রামের ওহিদুর সরদার ও লুটিয়া গ্রামের ফিরোজ শেখ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। ওই দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার সময়ে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ফিরোজ শেখ পক্ষকে নিবৃত্ত করেন। পরে ওহিদুর সরদার পক্ষের লোকজনকে নিবৃত্ত করতে গেলে তাঁদের ২০-২৫ জন ওই হামলা চালায়। আহত এএসআই মিকাইল হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মীর আলমগীরের মাথায়, বাম হাতের কনুইয়ে কোপানো হয়েছে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠির আঘাত। মিকাইল হোসেনের শরীরে লাঠির আঘাত রয়েছে।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান আটকের কথা নিশ্চিত করে বলেন, এএসআই মীর আলমগীরের কাছ থেকে আটটি গুলিসহ পিস্তলটি ছিনিয়ে নিয়েছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই এলাকায় একটি মসজিদের পাশে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।