মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু নড়াইলঃ এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক বছর ধরে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট ও গন্ডব গ্রামের গ্রামবাসিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় তিনজন খুনও হয়েছেন। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দু-দল গ্রামবাসির বিরোধ নিরসনে নড়াইল পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় শুক্রবার (৬ আগষ্ট) বিকেলে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন।
মত বিনিময় সভায় লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানজিলা সিদ্দিকা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আলাউদ্দীন মুন্সি,সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমান,ইউপি চেয়ারম্যান মো.মতিয়ার রহমান,লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন,ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফার রহমান,বিপ্লব হোসেনসহ গ্রাম্য মাদবরেরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় দুই গ্রামের মাদবরেরা প্রতিজ্ঞা করেন ভবিষ্যতে কোন রূপ এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজে জড়িত হবো না। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন ঢাল,সড়কি,রাম দা,গাছি দা জমা দেন।
এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,সুলতান মাহামুদ বিপ্লব নড়াইল জেলা পরিষদ সদস্য। তার বাড়ি গন্ডব গ্রামে। তিনি তিনটি হত্যা মামলার আসামি। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাঁর প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মিরাজ মোল্লার সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। দুজনেরই চালিঘাট গ্রামে সমর্থক রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সংঘাত। এর আগেও এলাকায় পুলিশের আহবানে শান্তি সভা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। এলাকার মানুষদের আশংকা এবারের শান্তি সভাও কোন কাজে আসবে বলে মনে হয় না।
মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার প্রবীর রায় বলেন,যারা এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতি কাজে লিপ্ত হবে তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আমাদের ইচ্ছা প্রতিহিংসা মন থেকে মুছে ফেলে সবাই মিলেমিশে একসাথে বসবাস করি। তিনি বলেন,দেশে মহামারি করোনা চলছে। কত জনের আপনজন পরপারে চলে যাচ্ছেন। মৃত্যু ভয়কে আমরা সব সময় স্মরণ করি। তাহলে দেখবেন এলাকার শান্তি ফিরে এসেছে।##