।
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলার এ পি বি এস এল
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামটি সরগরম হয়ে উঠেছে। নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন সভাপতি মাসুদ সিকদার।
জানাগেছে, এ পি বি এস এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ২ বার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে ৪ টি পদে ২৮ জন চাকুরী প্রত্যাশী আবেদন করেন। তার ভিতর প্রধান শিক্ষক পদে ৭ জন, আয়া পদে ৭ জন, অফিস সহায়ক পদে ৯ জন ও পরিছন্নতা কর্মী পদে ৯ জন আবেদন করেছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ সকল প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার আলোচিত এই নিয়োগ পরিক্ষা হবে।
এলাকায় কোন গুঞ্জন উঠেছে, সীমাখালী গ্রামের দিপুকে নিয়োগ দিতে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন সভাপতি। দিপু মিজানের ভাগ্নে।
সাজানো নিয়োগ বোর্ডে নাম মাত্র লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে। পূর্ব পরিকল্পিত প্রার্থীদের
১ম করে,নিয়োগ বোর্ডকে সম্মানির নামে মোটা অংকের টাকার খাম ধরিয়ে দিবেন সভাপতি মাসুদ সিকদার । বেশি ওজনের খাম পেয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য গণ ফলাফল সিট সহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে খুশি মনে সাক্ষর করে দেবেন মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই পরিক্ষা দিতে নারাজ বলে অভিযোগ ও করেছেন। সুচতুর সভাপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া সুদক্ষ ভাবে সফল করতে নিজের মত করে পরিক্ষার্থী গুছিয়ে রেখেছেন। নাম মাত্র পরিক্ষা দেবেন এই সব প্রক্স দেওয়া পরিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, (ভারপ্রাপ্ত) ডালিয়া ইয়াসমিন বলেন, আমি নিয়োগ প্রক্রিয়া করে দিয়েছি। বাকি সব কিছু সভাপতি করেছেন। আমি মহিলা মানুষ কোন জটিলতার ভিতর নাই।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাসুদ সিকদার বলেন, আমরা জোগ্যতার সাথে নিয়োগ দেব। কারো নিকট হতে কোন টাকা নেওয়া হয়নি।