নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রকাশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে ইউপি সদস্য প্রকাশ মদ খেয়ে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। রাতে হঠাৎ জড়িয়ে ধরায় ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশিরা দৌড়ে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ধরে মেম্বার কে ঝাটা পেটা করেন। ঝাটা পেটার এক পর্যায়ে মহিলাদের পা ঝড়িয়ে ধরে মাপ চেয়ে তাৎক্ষণিক রক্ষা পায়। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা গেছে মহিলাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে ওই ইউপি মেম্বার। কারো নিকট বিষয়টি জানালে পরিস্থিতি বেকায়দা হবে বলে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।এহেন পরিস্থিতিতে এই গৃহবধূ বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
সুত্রে যানা গেছে, ইউপি সদস্য প্রকাশ বিশ্বাস এক জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন কারী। মাদক সম্রাট খিলি ও প্রকাশ দুজনে এলাকার যুব সমাজকে নষ্ট করছে। প্রকাশের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার নেতৃত্বে নড়াইলের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে গাজা, ইয়াবা, বিদেশি মদ সহ মাদকদ্রব্য। মাদকদ্রব্য কেনা বেচার জন্য রয়েছে বড় নেটওয়ার্ক। গড়ে তুলেছেন একটি চক্র। মাছের ব্যবসার আড়ালে চলে তার মাদক কেনা বেচা। বিকাশে লেনদেন হয় টাকা। তার সহযোগী মাদক সম্রাট খিলি,একাধিক বার আটক হলে ও বাকীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় এই প্রকাশ মেম্বার। কথিত আছে পুলিশকে নগত নারায়নে তুষ্ট করে তিনি এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মাদকের বেপরোয়া বিকিকিনিতে এলাকাবাসী এখন আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
শুধু তাই নয়। তার বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা রাস্তা সংস্কারের কাজের নানা রকম দূর্নীতি অনিয়ের অভিযোগ রয়েছে । তার নিজের দাদাকে সরকারি ঘর দেওয়ায় জনমনে ক্ষোভে সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন । এ বিষয়ে ইউপি সদস্য প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, ওই মহিলা তাপসের সাথে খারাপ কাজ করছিল আমি ধরে বাধা দেওয়ার কারনে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি মাদক খাই বিক্রি করি না।