বিশেষ প্রতিনিধি ঢাকা থেকে:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক মাস পার হয়ে গেলেও লম্পটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি জনগণের নজরে আসে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার দাবিতে আজ রবিবার রাত এগারোটায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব, কদম ফোয়ারা, মৎস ভবন চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন, দেশে বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় বারবার বিচার থেকে রেহাই পেয়ে যায় ধর্ষক, নারী নির্যাতনকারী এবং সন্ত্রাসীরা। যে কারণে ধর্ষণ এবং বর্বোরোচিত নারী নির্যাতন দেশে এখন মেগাসিরিয়ালে রূপ নিয়েছে। এক একটি লোমহর্ষক ঘটনার অবতারণা হওয়ার পরেই চলে আসে আরেক লোমহর্ষক ঘটনা। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করছি বিচার বিভাগে ক্ষমতাসীন সরকারের হস্তক্ষেপ বারবার এমন ঘটনার জন্ম দেয়। সুতরাং দেশের বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে না পারলে ধর্ষণ ও লোমহর্ষক নারী নির্যাতনের ঘটনা আরো কত অবলোকন করতে হবে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না থাকায় বারবার ধর্ষণ এবং লোমহর্ষক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অতএব ধর্ষণ নারী নির্যাতন সহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার বিকল্প নেই।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল করীম আকরাম, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ, ঢাকার ৬৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইবরাহীম।
আরও ছিলেন সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, প্রকাশনা সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ, কওমি মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক নুরুল বশর আজিজী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য মুনতাসির আহমাদসহ ঢাকা মহানগর এবং ঢাকাস্থ ক্যাম্পাস নেতৃবৃন্দ।