বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
সিলেট ২ আসনে পৌরসভার মেয়র পদে থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেলে ও প্রতীক পাওয়ার জন্য তিনি ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সিলেটের ডিসি অফিসে নিজের অনুসারীসহ প্রতীক প্রাপ্তির জন্য মানব বন্ধন করেন। কিন্তু না পাওয়ায় পরে বিশ্বনাথে এসে আবার মানবন্ধন করেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্বনাথ বাসিয়া নদীর উপর মানববন্ধন কর্মসূচিতে মুহিবুর রহমান ‘প্রতীক না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশন অশান্তির সৃষ্টি করছে। এই নির্বাচন কমিশন কোনো বিশেষ প্রার্থীকে জয় যুক্ত করার জন্য আমাদেরকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়ার পায়তারা করছে। বিগত ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়ে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করো। আমি এর আগেও ৮/১০টি নির্বাচন করেছি, হাইকোর্টে গিয়েছি, রায় পাওয়ার সাথে সাথে সার্টিফাই কপি দেয়ার পর পরই প্রতীক পেয়েছি। কিন্তু এ নির্বাচনে আমি রায় পাওয়ার পরই হাইকোর্টের সার্টিফাই কপি নির্বাচন কমিশনকে পৌছে দিয়েছি। আমার কাছে সেই রশিদও আছে। ২৫ ডিসেম্বর ডিসি অফিসেও আমি রায়ের সার্টিফাই কপি পৌছে দেই। ডিসি বলেছেন সার্টিফাই কপি নয়, হার্ড কপি দিতে হবে। আমরা পরদিন ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে সেই হার্ড কপিও এনে দিয়েছি। এরপরও যখন প্রতীক পাইনি তখন ডিসির দ্বারস্থ হলাম। ডিসি জানালেন নির্বাচন কমিশন থেকে কিয়ারেন্স আসতে হবে। এবং আজ বৃহস্পতিবার যাওয়ার জন্য বলেন। আমরা তাঁর কথামতো আজ বৃহস্পতিবার গেলাম। তিনি একটি চিঠি দেখিয়ে বলেন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। এটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক হাইকোর্টকে অবমাননা করা। তাই প্রতীক না পাওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব । প্রতীক না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বলে হুসিয়ারী দেন মুহিবুর রহমান।
৩ ডিসেম্বর তার মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ১৬ ডিসেম্বর। সেই আবেদন খারিজ করেন নির্বাচন কমিশন। এর পর তিনি ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। গত ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন। আজ (২৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তিনি প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়ায় আন্দোলন শুরু করেছেন।
ইতিমধ্যে ট্রাক প্রতীক দিয়ে ব্যানার-পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণা শুরু করায় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা ভুমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট হোসেন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।