বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা (কোনাপাড়) গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ সিরাজ মিয়া নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ নিখোঁজের দুইদিন পর পাওয়া গেছে।
মৃতদেহটি উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের হোসেন পুর গ্রামের খাজাঞ্চি -কামাল বাজার রোডের খালের পার্শ্ব থেকে আজ উদ্ধার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
৯ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে খালের পার্শ্বে অজ্ঞাত মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে স্থানীয় জনতা খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
মৃত ব্যাক্তি পরিচয় সনাক্ত করেছেন তাঁর পারিবারের সদস্যরা। মৃত সিরাজ মিয়া হলেন রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা (কোনাপাড়া) গ্রামের মৃত আফ্রাজ উল্লাহ ছেলে । মৃতের তিন ছেলে মো. কদর আলী, মো. সজল মিয়া ও জীবন মিয়া সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃত সিরাজ মিয়া গত মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে। নিখোঁজের বিষয়ে গতকাল ৮ নভেম্বর রাতে বিশ্বনাথ থানায় দৌলতপুর ইউনিয়নের কাজির গাঁও গ্রামের ফারুক আহমদ কে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের ছেলে কদর আলী। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা এ এস আই প্রদীপ কুমার দাস। এর পর সম্ভাব্য সকল স্থানে সিরাজ মিয়া কে খোঁজে তার সন্ধান পায়নি পুলিশ।
মৃতদেহ পাওয়ার পর তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তার পরিবারের লোকজনের। নিহতের ছেলে সজল মিয়া ও জীবন মিয়া জানান, কয়েক মাস আগে তার নিজ গ্রামের এক দরিদ্র কিশোরীকে কাজির গাঁও গ্রামের ফারুকের মাধ্যমে সিলেটের মেনিখলার এক বাসায় তিনির মধ্যস্থতায় কাজ করাতে দেন। সেখান থেকে টাকা পয়সা নিয়ে মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে গেলে মেয়ের পরিবার তাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ দেন। মেয়ের সন্ধানে সিরাজ মিয়া সেখানে যান এবং ফারুকের সাথে দেন দরবার করেন। সেই ঘটনার জেরে পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা ধারনা করছি।
মতৃদেহ উদ্ধার ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেটের এডিশনাল এসপি আশফাকুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। মৃতদেহের গায়ে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া না গেলেও প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ এমনটি জানিয়েছেন এসপি আশফাকুজ্জামান। তিনি আরো জানান তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য মরদেহটি সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।