স্বপন রবি দাশ, নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ লুটপাটের প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার দুপুরে নবীগঞ্জের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে পানিউমদা ইউনিয়নের খাগাউরা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে পানিউমদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কুদ্দুছ মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, গোলাম নবী তালুকদার, আব্দাল মিয়া, আউয়াল মিয়া, এডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ, হুমায়ুন খান, মনসুর আলম, মহিবুল হাসান মামুন, অনু আহমদ, মুজিবুল হক, সুশেল আহমদ, রাজু আহমেদ, কামাল আহমদ, জুনায়েদ আহমেদ, সাজিদ তালুকদার, খালেদ আহমদ, মুহিদ মিয়া, মহসিন আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবী জানান এবং ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসনে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ।
উল্লেখ্যঃ গত ৩১ মে সকালে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল ৬ মৌজার কয়েক হাজার লাটিয়াল বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবে পানিউনদা ইউনিয়নের, নোয়াগাঁও গ্রামের ১৩টি ঘরবাড়িতে হামলা,ভাংচুর, লুটপাট সহ লুটতরাজ কান্ড চালিয়ে, নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু, প্রায় ২ হাজার মন ধান সহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। তাদের কবল থেকে বাদ পড়েনি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ ও তারা পবিত্র কোরআন ও জালিয়ে দেয়৷ এছাড়াও বাদ পড়েনি,গাছপালা, নৌকা সহ ১৩টি পরিবারের সারা জীবনের কামাই রোজগার৷ হামলাকারী অস্ত্রধারীরা লুটপাটের পর ১৩টি কৃষকের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে ধ্বংস্তুপে পরিনত করে৷ এঘটনায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে ঘটনার নায়ক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বহিস্কৃত সভাপতি ও গজনাইপুর ইউনিয়নের সাবেক বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ ২ দিনের রিমান্ডে আনে৷ এনিয়ে নারকীয় তাণ্ডবে মোট গ্রেফতার হয়েছেন ৯জন দাঙ্গাবাজ৷ পলাতক আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী৷
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সনে পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলাকেও হার মানিয়েছে সাতাইহাল ৬মৌজার লাটিয়াল বাহিনী। তাদের এমন জঘন্যতম হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা যেন জানা নেই। তবুও মুকুল ও নুর উদ্দিন বাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন নাগরিক সমাজ৷