মোঃ আশরাফুল ইসলাম খুলনা সদর প্রতিনিধি: খুলনা মহানগর ও জেলাবিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেয়ার অপরাধে সরকার দলের পান্ডা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে গণধর্ষণের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারের অভিষেক হয়েছিল।এতবড় অপকর্মের হোতা রুহুল আমিন যখন জামিন পায় তখন অন্যান্যরা স্বাভাবিকভাবেই লাগাম ছাড়া হবে।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতন এই অবৈধ সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় নিরন্তন বিষয় হয়ে গেছে। গত কয়েক মাসের হিসাব করলে দেখা যায়, এগুলো এখন একটি মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। শুধু ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়া নয়, একই সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবেও ধ্বংস হয়েছে।’
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘মা-বোনদের ওপর নির্যাতন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যখন ক্ষমতায় তখন এ দায় অস্বীকার করার উপায় নেই। অতএব আপনারা দায় স্বীকার করেছেন। আপনারা ব্যর্থ। আপনারা থাকতে এ দেশ নিরাপদ নয়। আপনারা পদত্যাগ করুন ‘এখন আর চুপ করে বসে থাকার উপায় নেই। সবার কাজ হবে একত্রিত হয়ে এ মহাদানব সরকারকে প্রতিহত করা। একই সঙ্গে আগামীতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা। বর্তমান সরকারের পৃষ্টপোষকতায় যেহেতু এহেন অপকর্ম, সুতরাং এই অনির্বাচিত দখলদার সরকারকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে মুক্তির একমাত্র পথ।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধর্ষণ, খুন গুম, শিশু ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা আঃ গফ্ফার।
বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওহেদুজ্জামান রানার পরিচালনায় বক্তৃতা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, জাফর উল্লাহ খান সাচ্চু, স ম আঃ রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আঃ রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, কামরুজ্জামান টুকু, রেহানা ঈসা, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, শরিফুল ইসলাম বাবু, মোল্লা কবির হোসেন, জুলকার নাইম, জাবীর আলী ও আবু হানিফ প্রমুখ।
Leave a Reply