বার্তা বিভাগঃ যুক্তরাজ্যের ডরসেটে স্থায়ীভাবে বসবাসরত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পাহাড়পুর নিবাসী, এসএমএস মিডিয়া লিঃ এর চেয়ারম্যান, সালেহ আহমদ সাকিব কল্যাণ ট্রাস্ট ইউকে’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এশিয়ান এক্সপ্রেস টুয়েন্টিফোর ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর উপদেষ্টা, শিক্ষানুরাগী, দানবীর আহমেদ সেলিম খাজাঞ্চি ইউনিয়ন সহ মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এক শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা এসেছে বছর ঘুরে। পবিত্র এই দিনে আমরা কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকি। পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে সবার মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করি। মানুষে মানুষে মহামিলনের এই মহা-আনন্দের দিন উপলক্ষে আমি আমার প্রাণের সিলেট বাসী সহ সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক। পবিত্র কোরআনের আলোকে আহমেদ সেলিম বলেন , সুরা হজ্ব এর ৩৭নং আয়াতে বলা হয়েছে- ‘আল্লাহতায়ালার দরবারে কোরবানীর পশুর মাংস কিংবা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, বরং তোমাদের তাকওয়া তাঁর কাছে পৌঁছায়। এভাবেই তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পারো-এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আর সুসংবাদ দাও সৎকর্মপরায়ণদের।’ এবার আমাদের মাঝে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদ-উল-আযহা এসেছে। বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের থাবা। বাংলাদেশেও এ অদৃশ্য আক্রমণ। প্রতিদিনই আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে মৃত্যুবরণ করছেন। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ, অর্থনীতির অবস্থাও নাজুক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পরিস্থিতিতে জনকল্যাণমুখী নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন নানা প্রণোদনা। ফলে গরিব দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। আমার বিশ্বাস, করোনাভাইরাস মহামারির সব অন্ধকার কাটিয়ে ঈদ-উল-আযহা সবার মাঝে আনন্দ বয়ে আনবে। কোভিড-১৯ এর দুর্যোগময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের ধৈর্য্য, সাহস ও শক্তি প্রয়োজন। আসুন, আমরা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদের সেই তাওফিক দেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত/শান্তি কামনা করছি। পাশাপাশি তাদের পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ঈদ-উল-আযহা আমাদের শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। সঞ্চারিত করে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা। এ মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবন। এই দিনে মানুষে মানুষে প্রীতি ও বন্ধনের যোগসূত্র আরও সুদৃঢ় হোক। আসুন, সবাই মিলে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়ি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশগড়ার প্রত্যয়ে প্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আসুন- আমরা গ্রহণ করি শপথ। সবাই ভালো থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সুরক্ষিত থাকুন। দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ জামাতসহ প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করি। সবাইকে আবারও জানাই পবিত্র ঈদ-উল-আযহারশুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।