লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল লালমনিরহাট জেলার সকল ইউনিটে আহবায়ক কমিটি গঠনের লক্ষে ইতিমধ্যে কর্মীসভা সম্পুর্ন করেছেন রংপুর বিভাগীয় টীম প্রধান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সভাপতি জননেতা রুহুল আমিন আকিল।
যে কোন দিন কমিটি প্রকাশ হওয়ার অপেক্ষায় পাটগ্রাম উপজেলা ও পৌর যুবদল কিন্তু বাঁধ সেজেছে সাবেক নেতা ও কর্মীরা।
যুবদলের অনেকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, পাটগ্রামে বি এন পি ও যুবদলের কমিটি কখনও পরিবর্তন হয় না। বারবার একই নেতা নির্বাচিত হয়। বিগত ২০০৩ থেকে অদ্যবধি ২০২১ সাল এক কমিটি দিয়েই চলছে। মাঝখানে অল্প স্বল্প একটু পরিবর্তনের হাওয়া লাগলেও কমিটি’র সভাপতি সম্পাদক বাদে সদস্য পরিবর্তন করতে চায় নেতারা। দলে নেই গণতন্ত্র। নেই কোন রাজনৈতিকদল শিষ্ঠাচার। মূল পদ ব্যতীত পরিবর্তন আসলে পরিবর্তন নয়।
একশ্রেণির অসাধু বিএনপি নেতা আছে যারা দলের নেতৃত্বে গতিশীলতা ঠেকাতে বারবার একই কমিটি ঠিক রাখার চেষ্টা করেন। শোনা যায় আবারও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আগে মন মত নেতাদের আগের কমিটির একজন কে ঠিক রেখে কমিটি দেওয়ার সুপারিশ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাপ- দাদার সম্পত্তি হিসেবে দলিয় পদ-পদবী কুক্ষিগত করে রাখা হচ্ছে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। যুবদলের নেতাদের দাবী নেতৃত্বে আংশিক নয়,পুরো পরিবর্তন করে স্বচ্চ গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি হলে নেতৃত্বের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত হয়েছে যে, তথ্য ফরম পূরণের মাধ্যমে নতুন কমিটি চাই শ্লোগানের মধ্য দিয়ে যুবদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রভাবমুক্ত একটি স্বচ্ছ কমিটি যুবদলের তৃনমুল নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের
প্রত্যাশা। এমন দাবীতে সোচ্চার যুবদলের নেতা-কর্মীবৃন্দ।
পুরাতন কমিটি র নেতাদের আবারও আহবায়ক কমিটিতে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে এমন তথ্য দিয়ে কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা বলেন,আদু ভাইদের জং ধরা নেতৃত্বের কারনে সংগঠনের কোন পরিবর্তন হয় না।কার্যক্রমে গতিশীলতা নেই।তৃনমূলে নেতা- কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন। নেতারা উৎসাহ পায় না তখনেই হ য ব র ল মত অবস্থা হয়ে পড়ে। পয়সাওয়ালারা নেতা হয়।কাজেকর্মে না থাকলে ও চলে। জেলা নেতাদের ফেস দেখাইলে পাস। তবে ২০২১ কর্মী সভা’র মাধ্যমে নেতাকর্মীরা আবারও নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব দেখতে চায় তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
পাটগ্রামে বিএনপি – যুবদলে অপরাজনীতি ভরে গেছে। গুটিবাজ কিছু নেতার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে দলের কার্যক্রম।
দীর্ঘ ১৮ বছর আগে গঠিত ২০০৩ সালের কমিটি দিয়ে কোন মতে চলছে। নেতৃত্বে অন্তঃসার শূণ্য নেতাদের পরিবর্তন করে নতুন নেতৃত্ব চান তৃনমূল কর্মীরা।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে দায়িত্বশীল কেউ মুখ খুলতে চায়নি। কোন মন্তব্য করা যাবে না মর্মে সাফ্ জানিয়ে দেন কতিপয় নেতা।
যুবদলের পদ-পদবী নিজস্ব পরিবারের মধ্যে রাখার অপচেষ্টা করছেন বিএনপি’র সাবেক কমিটি’র কিছু নেতা।এটা না’কি ক্ষমতা ধরে রাখার ও প্রভাব বিস্তার করার মত কূটকৌশল হতে পারে এমনটাই মন্তব্য করেন অনেকে।
Leave a Reply